আজ শনিবার শিক্ষানগরী রাজশাহীর রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) অনুষ্ঠিত হলো “সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিতকরণ এবং সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ” শীর্ষক সেমিনার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির (প্রস্তাবিত জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি), আয়োজনে দিনব্যাপী সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সভাপতিত্ব করেন রুয়েট কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলী অনুষদের প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ আল মেহেদী হাসান।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো: কামরুজ্জামান। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলী অনুষদের অধ্যাপক ড. শামীম আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইন্ডাস্ট্রি কোলাবরেশন বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের উপরে গুরুত্বারোপ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলী অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের জীবন এখন সাইবার জগতের সঙ্গে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িয়ে আছে। স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট এখন আমাদের জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ। দিন দিন বাড়ছে আইওটি ডিভাইসের ব্যবহার। তাই নিজেদের সুরক্ষার জন্য প্রত্যেককেই ব্যক্তি পর্যায়ে সাম্প্রতিক সাইবার ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে। পাশাপাশি জানা থাকতে হবে ঝুঁকি মোকাবেলার কৌশল। এজন্য সাইবার এটিকেট, ডু অ্যান্ড ডোন্ট মেনে চলতে হবে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ও ডিএসএ’র মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো: কামরুজ্জামান দেশের সাইবার স্পেসকে সুরক্ষিত রাখতে নতুন অনুমোদিত সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ এর প্রয়োজনীয়তা এবং সাইবার নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। তিনি সরকার ঘোষিত ৩৪টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর(CII) সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিতকরণে ডিএসএ’র কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি (প্রস্তাবিত জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি) এর বিভিন্ন কার্যক্রম এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। সাইবার ফরেন্সিক ল্যাবের কার্যাবলী এবং শিক্ষার্থীদের উক্ত ল্যাবে প্রশিক্ষণের বিষয় তুলে ধরেন। সরকার সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিতে কী কী করছে সেগুলোর ওপর আলোকপাত করে সেসব উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি সংশ্লিষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান এই সাবাইর যোদ্ধা।
মূলপ্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অধ্যাপক ড. শামীম আহমদ সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিতকরণে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভূমিকা এবং বিভিন্ন সাইবার অপরাধের ধরন ও তা প্রতিরোধের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। নিজস্ব সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার প্রস্তুতের মাধ্যমে আমরা নিরাপদ সাইবার পরিকাঠামো গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দেশে সাইবার সিকিউরিটি ও ইনফরমেশন সিকিউরিটি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী দ্রুত চালুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ও পরিচালনা পর্ষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি দক্ষ আইসিটি গ্রাজুয়েট নিয়োগের মাধ্যমে আইসিটি ক্যাডার বাস্তবায়নে সরকারে প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার, সাইবার সিকিউরিটি, সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন উপস্থাপন করেন। সবশেষে সেসব প্রশ্নের উত্তর দেন আলোচকরা।