সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মেটাভার্স তথা ত্রিমাত্রিক ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় মিলবে স্পর্শের অনুভূতিও। পাশাপাশি বসে কথোপকথন চালাতে কিংবা কাজে অংশ নেয়া বাস্তবতা উপহার দেয়ার পর এমন বার্তাই দিয়েছন মার্ক জাকারবার্গ।
তিনি বলছেন, মেটাভার্সে কেবল দেখা কিংবা শোনা নয়, মিলবে স্পর্শের অনুভূতিও। সে জন্য হাতে থাকতে হবে বিশেষ প্রযুক্তির গ্লাভস বা দস্তানা। সে গ্লাভস কীভাবে কাজ করবে, ফেসবুক পোস্টে তা-ও দেখিয়েছেন তিনি।
ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান দ্য রিয়েলিটি ল্যাবস এই গ্লাভস তৈরি করছে। পরীক্ষামূলক এই গ্লাভসটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) হেডসেটের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে।
গ্লাভসটি কাজ করে মাইক্রোফ্লুইডিকসের সাহায্যে, এর মাধ্যমে বাতাসের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাকচুয়েটরগুলোকে নাড়ানো যায়। পাশাপাশি হ্যান্ড-ট্র্যাকিং প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করছে মেটা।
ফলে গ্লাভস পরে বল ছুড়ে দিয়ে ধরা, আবার কারও সঙ্গে করমর্দন করাও যাবে। ব্যাপারটা এমন যে দুই বন্ধু ২০০ কিলোমিটার দূরে নিজ নিজ ঘরে বসে থেকেও একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করতে পারবেন। তা-ও আবার যথারীতি হাত নাড়িয়ে।
মেটা ইনকর্পোরেটেডের তথ্যানুযায়ী, রিয়েলিটি ল্যাবস বিগত ৭ বছর ধরে বিশেষ প্রযুক্তিসম্পন্ন এই গ্লাভসটি নির্মাণে কাজ করছে।
এ নিয়ে রিয়েলিটি ল্যাবসের প্রকৌশলী ক্যাথেরিন হিলি জানান, এখন দক্ষ প্রকৌশলীরা প্রতিটি গ্লাভস আলাদা করে তৈরি করছেন, যেখানে যন্ত্রাংশ তৈরি করে সেগুলো জুড়ে দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে হাতে হাতে। সম্ভব হলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আধা স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে ঠিকই। তবে সহসাই সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি গ্লাভসগুলো বাজারজাত করা হবে।