টানা দুই প্রান্তিকে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে ডিজিটাল সেবার পরিধি বৃদ্ধিতে মনোনিবেশকারী মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বাংলালিংক-এর আয় আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১১.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেও দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিলো অপারেটরটি। প্রান্তিক হিসাবে ইন্টারনেট ডেটা থেকে বাংলালিংক-এর আয় ২১.৪ শতাংশ বৃদ্ধি ও এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬.৪ শতাংশ বৃদ্ধি এই ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, নেটওয়ার্কের গতি ও ডিজিটাল সেবার মানে সেরা অবস্থান ধরে রেখেছে তারা।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বাংলালিংক-এর স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওন-এর সর্বশেষ প্রান্তিক ফলাফল অনুযায়ী, বাংলালিংক-এর চলমান ফোরজি সম্প্রসারণের ফলে সারা দেশে এর সর্বোচ্চ গতির নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গ্রাহকরা এর ফলে বাংলালিংক-এর ডিজিটাল সেবাও ব্যবহার করতে পারছেন। গত ১০ মাসে ৩৪০০-এরও বেশি বেইজ ট্রান্সসিভার স্টেশন (বিটিএস) স্থাপন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। চলমান এই প্রচেষ্টার কারণে এর ফোরজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রান্তিক হিসাবে ৩১.৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৫ কোটিতে। দেশের প্রথম অপারেটর হিসেবে টাইম ডিভিশন ডুপ্লেক্স (টিডিডি) প্রযুক্তি দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ফোরজি চালু করেছে বাংলালিংক। এছাড়াও সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিভাগে এর নেটওয়ার্ক কাভারেজ ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বাংলালিংক-এর ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট প্ল্যাটফর্ম টফি এই বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ধারাবাহিক ভালো ফলাফল অব্যাহত রয়েছে। এই প্রান্তিকের শেষে টফি-এর মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭০ লক্ষে উন্নীত হয়। দেশের একমাত্র ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আসন্ন বিশ্বকাপ ফুটবল লাইভস্ট্রিমিংও করবে টফি। বাংলালিংক-এর সেলফ কেয়ার অ্যাপ মাইবিএল অ্যাপ-ও ধারাবাহিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে চলেছে। তৃতীয় প্রান্তিকে এটির সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো ৫১ লক্ষ।
বাংলালিংক-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন, “ধারাবাহিকভাবে আমাদের দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি এটাই নিশ্চিত করে যে, গ্রাহকদের কাছে আমাদের সম্প্রসারিত নেটওয়ার্ক ও উন্নত ডিজিটাল সেবা স্বীকৃতি পাচ্ছে। এর ফলে বাংলালিংক এই বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে আয়ের মার্কেট শেয়ারও বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের নানা প্রান্তে আরও ভালো অবস্থান ও নানা ধরনের ডিজিটাল সেবা নিয়ে আমরা প্রবৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।”