শক্তিশালী ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়ার পরিবেশকে সুসংহত করার লক্ষ্য নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম প্ল্যানিং স্টুডেন্ট কনভেনশন করছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্বিবিদ্যালয় (চুয়েট)। কনভেনশনে দেশের সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩০০ জন নবীন পরিকল্পনাবিদসহ সেইভ দ্য চিলড্রেন, ব্র্যাক-আরবান ডেভেলপমেন্ট ও অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন।
দুইদিনব্যাপী এই কনভেনশনে অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিল- সেমিনার, চিত্র প্রদর্শনী ও পোস্টার প্রর্দশনী, টেকনিক্যাল সেশনে থিসিস, প্রজেক্ট উপস্থাপন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি।
বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করনে চুয়েট ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
চুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা (ইউআরপি) বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)-এর যৌথ উদ্যোগে চলমান এই সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে স্টুডেন্টস কনভেনশন ধারণাটি অত্যন্ত সময়োপযোগী। এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন বিশ্বিবিদ্যালয়ের গবেষক ও শিক্ষক-শিক্ষার্র্থীদের মাঝে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয়। যা শক্তিশালী ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়ার পরিবেশকে সুসংহত হয়।”
ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম আরো বলেন, “বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনার বিকল্প নেই। টেকসই ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনা ছাড়া কোনো উন্নয়নই যথার্থ হবে না। বর্তমান বাস্তবতায় সেই উন্নয়ন পরিবেশবান্ধবও হতে হবে। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন “গ্রাম হবে শহর” প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের নবীন পরিকল্পনাবিদদের গবেষণা ও উদ্ভাবনের প্রতি মনোনিবেশ বাড়াতে হবে।”
কনভেনশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার; চুয়েটের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, কনভেনশন আয়োজক কমিটির আহবায়ক পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. এম. শফিক-উর-রহমান।
এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় করেন ইউআরপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম শাহজাহান।
এর আগে পরিকল্পনা গ্রহণ নিয়ে অনুষ্ঠিত ছাত্র সমাবেশ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে এবং আনন্দ র্যালির করা হয়। র্যালিটি প্রশাসনিক ভবন থেকে পুরকৌশল ভবন হয়ে ইউআরপি ভবনে গিয়ে শেষ হয়। এতে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
এরপরে ইউআরপি ভবনের নিচতলায় দেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থীদের তৈরি বিভিন্ন প্রজেক্ট ও পোস্টার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। কনভেনশনে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।