আইপিভি ৬ ডেপলয়মেন্ট না করা হলে দেশ নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, অবশ্যই আমাদের আইপিভি ৬ এ যেতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। প্রয়োজনে ষষ্ঠ প্রজন্মের আইপি সঞ্চালনে সক্ষম নয় এমন রাউটার আমদানি বন্ধ করে দেয়া হবে।
শনিবার রাজধানীর বনানীতে ইন্টারনেটে সেবাদাতাদের জাতীয় বণিক সংগঠন আইএসপিএবি আয়োজিত আইপিভি ৬ রাউটিং ডেপ্লয়মেন্ট কর্মশালা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই সতর্ক বার্তা দিয়েছেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরো বলেন, ইন্টারনেট সেবায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নতুন লাইসেন্স দেয়ার চেয়ে বিদ্যমান লাইসেন্সধারীদের আপগ্রেডেশনের সুযোগ দেয়াকেই আমি অধিক যৌক্তিক মনে করি। ইন্টারনেট ছাড়া বাংলাদেশ ডিজিটালও হবে না স্মার্টও হবে না।
দেশে এখন ৩ হাজার ৮৪০ জিবিপিএএস ব্যান্ডইথ ব্যাবহার হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একজন প্রবীন নারীও এখন বিদ্যুতের পাশাপাশি ইন্টারনেট চান। আমাকে বন্যায় আক্রান্ত এক চাচী ফোন করে চিড়া-গুড়ের সঙ্গে ইন্টারনেট চেয়েছেন বিদেশে থাকার তার সন্তানকে ঘরের পানির পরিস্থিতি দেখানোর জন্য। এতেই ধারণা করা যায় ২০৪১ সাল নাগাদ দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার ৪ হাজার জিবিপিএস ছাড়িয়ে যাবে। এই চাহিদা পূরণ করতে আমরা সিমিউই ৬ এ যুক্ত হয়েছি। কাকতালীয় ভাবে বাড়তি ক্যাবল সংযুক্তির সুবিধা নিয়ে আমরা ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথে পৌঁছবে।
সভাপতির বক্তব্যে ইন্টারনেট ব্যবসায়ের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ এহসানুল কবির এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইবিপিসি সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত সচিব আবদুর রহিম খান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে এপনিক সদস্য প্রশিক্ষক আব্দুল আওয়াল ও আবু নাছেরের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইএসপিএবি সিনিয়র সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম।বক্তব্যে মন্ত্রীকে ব্যবসায় পরিবেশের পথের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে মন্ত্রীর আশ্বাস জ্ঞাপনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
এবার আইপিভি ৬ ডেপ্লয়মেন্ট নিয়ে ৮০ জনকে ৩ দিনের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে আইএসপিএবি।