রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার পর মায়ানমার সরকার সীমান্ত ঘেঁষে তাদের মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করেছে। এর মাধ্যমে তারা শুধু তাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সাথে সাথে বাংলাদেশ সার্বভৌমত্বের ওপর নজরদারি রাখছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার ( ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “বাংলাদেশ সীমান্তে মায়ানমারের লাগাতার সামরিক হামলা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্ষণ নিয়ে জাতিসংঘে বিশেষ আলোচনা রাখার দাবিতে” অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এই দাবি করেন সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের নেটওয়ার্ক বন্ধের জন্য দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় কার্যত কোন উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। মায়ানমার জান্তা সরকার সাড়ে তিন লক্ষ সিম রোহিঙ্গাদের মাঝে সরবরাহের মাধ্যমে ব্যবহারকারী রোহিঙ্গাদের সকল গতিবিধি ও ডাটা সংগ্রহ করেছে। তাদের বিভিন্ন ডিভাইস বাংলাদেশ অভ্যন্তরে স্থাপন করেছে কিনা তা সনাক্ত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। সেই সাথে মায়ানমারের অবৈধ নেটওয়ার্ক বন্ধ করে সীমান্ত কে সে তাদের বিটিএস সরাতে দুই দেশের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আলোচনা শুরু করার দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের চেয়ারম্যান এম এ ভাসানী তার বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাই এমন জাতিসংঘ মহাসচিব এর কাছে বিশেষ অনুরোধ এই অধিবেশনে মায়ানমার সামরিক বাহিনীর অনৈতিক কর্মকান্ডের নিন্দা প্রস্তাব এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বিশেষ আলোচনা সভা আহবানের। আমাদের সামরিক বাহিনী যখন সারা বিশ্বে শান্তি রক্ষী বাহিনীতে সুনাম অর্জন করে। এবং আধুনিক অস্ত্র শক্তিতে সুসজ্জিত তখন মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর অনৈতিক কর্মকান্ড কোনভাবেই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের জনগণ মেনে নিতে পারে না।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, মোঃ আনিসুর রহমান দেশ, মাসুম বিল্লাহ নাফিয়া, মিজানুর রহমান মিজু, ডঃ মোঃ মোর্শেদ, সাইকুল আলম টিটু, ডাক্তার এ কে এম হাফিজুর রহমান, গোলাম মোস্তফা সরকার প্রমুখ।