স্মার্ট শহর ও স্মার্ট গ্রামের জন্য ডিজিটাল কানেক্টিভিটিই স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য মহাসড়ক বলে মন্তব্য করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এই মহাসড়ক নির্মাণে টেলিযোগযোগ বিভাগ সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
ডিজিটাল কানেক্টিভিটির উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেছেন, ডিজিটাল কানেক্টিভিটি হবে পরবর্তী উন্নয়নের মহাসড়ক। এই মহাসড়ক ছাড়া স্মার্ট সিটি বা স্মার্ট টেকনোলজি কোনোটাই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।
তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, অনেক অনুন্নত দেশ থেকেই বাংলাদেশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে অনেক এগিয়ে রয়েছে। ২০২১ সালেই আমরা পরীক্ষামূলকভাবে দেশে ফাইভজি (৫জি) সেবা চালু করেছি এবং এরইমধ্যে ফাইভজি (৫জি) কানেক্টিভিটি সেবা নিয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হয়েছে। স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট ভিলেজ বিনির্মাণে স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি ও শিক্ষা ক্ষেত্রের উন্নয়নে আমাদেরকে ফাইভজি কানেক্টিভিটির সুবিধাকে কাজে লাগাতে হবে। এর মাধ্যমেই আইওটি কাজে লাগাতে হবে।
প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার বলেন, ইতিমধ্যেই ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বিটিআরসি’র এসওএফ ফান্ড থেকে ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থার ডজিটাল রূপান্তরের পাশাপাশি তাদের কনেন্টনও ডিজিটাল করা হয়েছে। এই রূপান্তর বাচ্চাদের লেখা পড়ায় দারুণ আগ্রহী করে তুলেছে।
শিল্প কারখানার ডিজিটাল রূপান্তরে আইসিটি বা টেলিকম বিভাগের একার কাজ নয় উল্লেখ করে এতে সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী। তিনি বলেন, উদ্ভাবনাকে বাণিজ্যিকি করণ করা না হলে তা টেকসই হবে না। এ জন্য এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
এক্ষেত্রে তরুণ উদ্ভাবকদের কাঝে পেটেন্ট বা মেধাসত্ব বিষয়ে সচেতন করতে ব্যাপক ভিত্তিক কাজ করার আহ্বান জানান বিজয় বাংলা রূপকার মোস্তাফা জব্বার।