ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমরা গর্বিত জাতি যে বিশ্বের প্রথম ডাক টিকেট প্রদর্শণীর আয়োজন করেছি আমরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে ওঠায় এই ঐতিহাসিক কাজটি আমরা করতে পেরেছি। এটি বাঙালী জাতির গর্ব, বাংলাদেশের গর্ব। এটি ভাবতেই বুকটা ভরে যায় যে কোন উন্নত বা পশ্চিমা দেশ নয় ডিজিটাল ডাক টিকেট প্রদর্শণী আমরা প্রথম করলাম। এই ধারাবাহিকতাতেই আমাদের ডাক অধিদপ্তর ডিজিটাল হচ্ছে। এর প্রারম্ভিক কাজ বেশ এগিয়েছে এবং আমাদের ডাক টিকেট বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কেউ ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেখতে পাবে।
শুক্রবার ঢাকায় অনলাইনে ফেডারেশন অব ইন্টার এশিয়া ফিলাটেলির সহযোগিতায় বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ২০২১ শীর্ষক প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল স্মারক ডাকটিকেট প্রদর্শণীর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভারচুয়াল বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. কাজী শরীফুল আলম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: খলিলুর রহমান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সিরাজ উদ্দিন, এফআইপি প্রেসিডেন্ট বার্নার্ড বেস্টন এবং এফআইএপি প্রেসিডেন্ট ড. প্রকোপ চিরাকীতি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন।
মন্ত্রী বলেন, স্মারক ডাকটিকেট ইতিহাসের বাহক। স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশের মাধ্যমে রেখে যাওয়া জ্ঞান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে স্মরণীয় করে রাখা যায়। যখন খুশি যে কেউ ডাক টিকেটের মাধ্যমে ইতিহাসকে তার চোখের সামনে দৃশ্যমান করতে পারে। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ২০২১ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ডাক প্রদর্শণীকে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করে গেছেন। তিনি তার সাড়ে তিন বছরের শাসনে যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার বীজ বপন করেন । এরই ধারাবাহিকতায় তারই সুযোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের অংশীদার করেন ও ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বিপ্লবের জন্য ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অভিযাত্রার ডাক দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জ্ঞান ভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের সক্ষমতা অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি ফোরাম ২০১৬ সালে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ঘোষণা করেছে।এর ৮ বছর আগে বাংলাদেশ ডিজিটাল পৃথিবীকে অবাক করে দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিপ্লবের যাত্রা শুরু করে।এর একবছর পর বৃটেন, ২০১৪ সালে ভারত এবং ২০১৯ সালে পাকিস্তান ডিজিটাল কর্মসূচির অভিযাত্রা শুরু করে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব বঙ্গবন্ধু ২০২১ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ডাকটিকেট প্রদর্শণীকে আয়োজকদের একটি মহতি উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এই ধরণের প্রদর্শণী দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের।
ডাক অধিদপ্তারের মহা পরিচালক এই আয়োজনের অংশীদার হবার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন। অন্যান্য বক্তারা বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল ডাক টিকেট প্রদর্শণীর আয়োজন করায় বাংলাদেশকে অভিনন্দিত করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী ৩টি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন। প্রদর্শণীটি দেখার জন্য ওয়েবসাইডটে লগ ইন করতে হবে।
পরে মন্ত্রী এই উপলক্ষ্যে একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন।