সরকারি পর্যায়ে বিদেশী সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সহসাই সোশ্যাল টেকজায়ন্ট ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউব বাংলাশী স্ট্যান্ডার্ডের রেগুলেশন প্রক্রিয়ার অধীনে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেছেন, এক সময় এই প্রযুক্তি নির্ভর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বাংলাদেশকে তেমন পাত্তা না দিলেও তারা এখন তারা আমাদের কথা শুনছে, নিয়মিত বৈঠক করছে। এমনকি বাংলাদেশের আইন মেনে ভ্যাট-ট্যাক্সও দিচ্ছে। সুরাং সেদিন হয়তো বেশি দূরে নয়, যখন ফেসবুকসহ এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের প্রবিধানের অধীনে আসবে।
যদিও বিষয়টি সরকারের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেছেন, তারপরও এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বর্তমান সরকার। আমাদের আইসিটি ডিভিশন, বিটিআরসি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কিছু কিছু বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছি, সুফলও পেয়েছি ।
প্রায় প্রতি সপ্তাহে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রতিদিন তাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। যে সব বিষয়ে রিপোর্ট করি সে বিষয়েও রেসপন্স করছে। ফেসবুকের বিষয়ে বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন মহিলা কর্মকর্তা রয়েছেন, সিঙ্গাপুর ও দিল্লিতে একজন করে কর্মকর্তা রয়েছেন তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আমাদের বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নানা বিষয়ে কথা হচ্ছে। এছাড়াও এখন ফেসবুকে বাংলা ভাষা বোঝার মতো লোক রয়েছে। তারা বাংলা কনটেন্ট বুঝতে পারে এবং তা সরাতেও পারছে। আমরাও মনিটরিং ব্যবস্থাটাকে সম্প্রসারণ করেছি বিটিআরসির মাধ্যমে। আরও কিছু যন্ত্রপাতি সংগ্রহের চেষ্টা করছি। এর ফলে আমি আশা করছি যে সেদিন হয়তো বেশি দূরে নয়, যখন আমরা মোটামুটি ভালোভাবেই ভার্চুয়াল সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও রাষ্ট্র বিরোধী সন্ত্রাস মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো। এখনো অনেক ক্ষেত্রেই আমরা সফল হতে শুরু করেছি।