গ্রামীণ টেলিকম থেকে সিবিএ নেতাসহ ৯৯জন কর্মীকে একসাথে চাকুরীচ্যুত করায় প্রতিষ্ঠানটির সামনে মানব বন্ধন করেছে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন।
বুধবার শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান মিরপুরের গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এসময় তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন ইউনি গ্লোবাল ইউনিয়নের বাংলাদেশ লিয়াজো কাউন্সিলে সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সদস্য আমজাদ আলী খান, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি কামরুল আহসান, আইবিসি সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল হাসান, , বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম খান, গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মিয়া মাসুদ বাংলালিংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন সভাপতি গোলম মাহমুদ সোহাগ।
বে-আইনীভাবে চাকুরীচ্যুত এবং ট্রেড ইউনিয়ন ধ্বংসের অপচেষ্টার প্রতিবাদে আয়োজিত এই মানববন্ধন থেকে প্রধানমন্ত্রী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী ও শ্রম অধিদপ্তরের মহা-পরিচারকের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। মানব বন্ধন থেকে অনতি বিলম্বের চাকরিচ্যুতদের কাজে পুনর্বহাল করা সহ তাদের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের অর্থ পরিশোধের দাবি জানানো হয়েছে।
গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে মানব বন্ধন পরিচালনা করেন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান।
মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ফজলুল হক ফরহাদ, এজেএম কামাল, কোহিন‚র রহমান, মাহফুজুল ইসলাম, আক্তারুজ্জামান, মনোয়ারা আক্তার, ফারহানা খানমসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা। এসময় তারা শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করার জন্য গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ চাকরিচ্যুতির এই অপকৌশল গ্রহণ করছে বলে মন্তব্য করেন।
বক্তারা বলেন- গত ২৫ অক্টোবর একটি অফিস আদেশের মাধ্যমে গ্রামীণ টেলিকম থেকে সিবিএ নেতাসহ ৯৯জন কর্মীকে একসাথে চাকুরীচ্যুত করা হয়। যেখানে ইউনিয়ন বিদ্যমান, প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান এবং গ্রামীণ টেলিকম একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান তথাপি নিয়ম বর্হিভ‚তভাবে এই সকল কর্মীকে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে। যা এই করোনা কালীন দুঃসময়ে অনাকাঙ্খিত ও অমানবিক।