শেয়ারহোল্ডারদের জন্য প্রতি শেয়ারে ১৩ টাকা লভ্যাংশের প্রস্তাব করেছে গ্রাহক সংখ্যায় শীর্ষে থাকা মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণ ফোন।
পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২৭ জানুয়ারী গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ ২০১৯ সালের এই লভ্যাংশ প্রস্তাব করেছেন। এর মাধ্যমে মোট নগদ লভ্যাংশের পরিমান দাড়ালো ১৩০% যা কর পরবর্তী লভ্যাংশের ৫০.৮৬% (৩৫% অর্ন্তবতী লভ্যাংশসহ)।
আগামী ২৩ এপ্রিল বার্ষিক সাধারন সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে ১৭ ফেব্রয়ারী রেকর্ড ডেট অনুযায়ী শেয়ারহোল্ডাররা এই লভ্যাংশের যোগ্য হবেন বলে জানিয়েছেন গ্রামীণফোনের সিএফও ইয়েন্স বেকার।
তিনি জানান, চতুর্থ প্রান্তিকে নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ৩৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে গ্রামীণফোন। এনওসি বন্ধের কারনে গ্রামীণফোনকে পরিকল্পিত বিনিয়োগের চেয়ে কম বিনিয়োগ করতে হয়েছে। শেষ প্রান্তিকে নেটওর্য়াক আধুনিকায়নের পাশাপাশি ৭১৫টি নতুন ফোরজি সাইট করা হয়েছে। বছর শেষে গ্রামীণফোনের মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫০৮টিতে। চতুর্থ প্রান্তিকে ফোরজি সাইটের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১০ হাজার।
তিনি আরো জানান, কর, ভ্যাট, ফোরজি লাইসেন্স ফি, স্পেকটার্ম এ্যাসাইনমেন্ট ফি, ডিউটি ও ফিস বাবদ মোট আয়ের ৫৯.২ শতাংশ সরকারী কোষাগারে জমা দিয়েছে অপারেটিরটি। টাকার অংকে এর পরিমাণ ৮ হাজার ৫১০ কোটি টাকা।
উদ্বর্ত হিসাব অনুযায়ী, ২৫.৪% মার্জিনসহ ২০১৯ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের মোট মুনাফার পরিমান দাড়িয়েছে ৯২০ কোটি টাকা। শেষ প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬.৮১ টাকা।