‘ট্রু মেড ইন বাংলাদেশ’ প্রত্যয় বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ বাংলাদেশী কর্মী নির্ভর আরো দুইটি কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিম্ফোনি। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে আশুলিয়ায় দ্বিতীয়টি এবং ডিসেম্বর নাগাদ গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে তৃতীয় কারখানা চালু করতে যাচ্ছে এডিসন গ্রুপের এই প্রতিষ্ঠানটি।
বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে প্রায় ৮.১৬ একর এবং আশুলিয়ায় নিজস্ব ১ লাখ ৭২ হাজার ৮০০ স্কয়ার ফুট জমিতে কারখানা দুটি তৈরি করছে সিম্ফনি। ৩টি কারখানায় এখনো পর্যন্ত সিম্ফনির খরচ হয়েছে ১০০ কোটি টাকার মতো। কিন্তু প্রডাকশন ক্যাপাসিটি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ টাকার পরিমাণ ভবিষ্যতে আরো বাড়তে পারে।
তিনটি কারখানা চালু হয়ে গেলে আর কোনও ফোন বিদেশ থেকে তৈরি করতে আনতে হবে না। বরং দেশে তৈরি ফোনই বিদেশে রফতানি করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এডিসন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শহিদ। তিনি জানান, ২০২২ সাল নাগাদ নিজেদের কারখানায় তৈরি মোবাইলফোন রফতানি শুরু করবে দেশীয় ব্র্যান্ড সিম্ফনি।
তিনি আরো জানান, ২০১৮ সালের নভেম্বরে সাভারে গড়ে ওঠা সিম্ফনির মোবাইল কারখানায় বেসিকফোন উৎপাদন শুরু করে সিম্ফনি। গত এক বছরে এই কারখানায় ২৯টি মডেলের সাড়ে ৩৫ লাখ হ্যান্ডসেট তৈরি হয়েছে। বর্তমানে এখানে কর্মরত আছেন ১০০০ কর্মী। এদের সবাই বাংলাদেশী।
এ বছরের মধ্যেই কর্মীসংখ্যা দ্বিগুন করা হবে বলে আশা প্রকাশ করছে সিম্ফনি কর্তৃপক্ষ। সূত্রমতে, বর্তমান বাজার চাহিদার ৪০ শতাংশ ফিচার ফোন সিম্ফনির এই কারখানায় তৈরি হচ্ছে। অবশিষ্ট মোবাইল এখনও চীন থেকে তৈরি করে আনতে হচ্ছে। দিনে ১০ হাজারের বেশি এবং মাসে আড়াই থেকে তিন লাখ মোবাইল সেট তৈরি হচ্ছে সভারের জিরাবো পুকুরপাড়ে অবস্থিত এই কারখানায়। কারখানাটিতে উৎপাদিত ফোনের মধ্যে দেড় লাখ ফিচার ও দেড় লাখ স্মার্টফোন। তাই কোনো স্মার্টফোনই আর চীন থেকে আমদানি করতে হচ্ছে না। চাহিদার পুরোটাই এই কারখানায় তৈরি হচ্ছে।
মোবাইল ফোন বাজারের ২৮ থেকে ৩০ শতাংশ সিম্ফনির দখলে।