গত ৪ দিন ধরে দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসহ গ্রাহকেরা ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন। তবে আগামী মাসের মাঝামিঝি সময়ের আগে এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
এ নিয়ে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইেসপিএবি মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া জানিয়েছেন, এখনো কনোসোর্টিয়ামের কোনো জাহাজ না পাওয়ায় এই বিলম্ব হচ্ছে। জাহাজ পাওয়া যাওযার পর কাজ শুরু হবে। তার মানে আমরা একটা বড় সমস্যায় পড়তে যাচ্ছি। তাই সরকারের কাছে আমরা নিরবিচ্ছিন্ন ব্যান্ডউইথ প্রত্যাশা করছি।
সূত্র মতে, ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় ফাইবার কেবল ‘ব্রেক’ করায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আর কাটা পড়া সাবমেরিন কেবল মেরামতের কাজ মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি’র (বিএসসিপিএলসি) মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণ) সাইদুর রহমান।
বিএসসিপিএলসি মহাব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান বলেছেন, গত শুক্রবার মধ্যরাতে ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় সি-মি-উই-৫ কেবলটি কাটা পড়ে। তাদের ওখানে প্রশাসনিক কাজকর্মে একটু বেশি সময় নেয়। সব মিলিয়ে তারা জানিয়েছে, আগামী মাসের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহ নাগাদ কাজটি হতে পারে।
সাইদুর রহমান বলেন, এখনো সব বিকল্পগুলো পুরোপুরি কার্যকর করা যায়নি। দেশের প্রথম সাবমেরিন কেবল সি-মি-উই-৪ এর সক্ষমতা রয়েছে পুরো ব্যন্ডউইডথ বহনের। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে বাড়তি খরচ দিতে হবে। তবে সেটা এখনো কার্যকর করা যায়নি। আরও কিছু বিকল্প রয়েছে। সেগুলোর কাজ চলছে।
জানা গেছে, দেশে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করা হয়। শুক্রবার রাত ১২টায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলটি সিঙ্গাপুর থেকে ৪৪০ কিলোমিটার পশ্চিম প্রান্তে ‘ব্রেক’ করায় এর পুরোটাই এখন বন্ধ আছে। শুধু আমাদের দেশ নয় পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন কেবল সি-মি-উই-৪ এর ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে। আর দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সি-মি-উই-৫ ঢুকেছে কুয়াকাটা হয়ে। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া সি-মি-উই-৫ এর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ব্যান্ডউইথ সি-মি-উই-৪ কেবলে শিফটিং করা হচ্ছে।