২০০২ সালের ৩১ জানুয়ারি গুলশান ১-এ ভাড়া করা বাড়িতে কার্যক্রম শুরু করেছিলো দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ২১ বছর পর গেলো কোরবানির ঈদের ছুটিতে আগারগাঁও প্রশাসনিক জোনে নির্মিত নিজস্ব ভবনে স্থানন্তরিত হয় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন থেকে। এর আগে অবশ্য ২০০৭-০৮ পর্যন্ত বনানীর সেতু ভবনে ছিলো বিটিআরসি’র কার্যালয়।
রবিবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিটিআরসি ১৫ তলা নিজস্ব ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৯ সালে ১৩ মার্চ ভবন নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ. কে. এম. রহমতুল্লাহ। সম্মানিত অতিথি থাকবেন টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান এবং সবাইকে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানাবেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
উদ্বোধন উপলক্ষে নান্দনিক শৈলীর বিটিআরসি ভবনকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। সুপ্রসস্ত ভবনের ১২ তলা জুড়ে লাইব্রেরি, মিডিয়া কর্ণার, মসজিদ, একাধিক বৈঠক খানা, কনফারেন্স রুম ও ক্যাফেটারিয়া সহ রয়েছে আধুনিক সব ধরণের সুযোগ সুবিধা।
এর আগে ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই ভবন তৈরির জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে জমি বরাদ্দ পায় বিটিআরসি। এরপর ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি শুরু হয় ভবন নির্মাণের মোবিলাইজেশন কার্যক্রম। এরপর অতিমারিতে চলেছে এর নির্মাণ কাজ।