ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার চারটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই চার সেমিনার নিয়েই এদিন প্রথম বারের মতো মোবাইল কংগ্রেস করেছে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটব। এই কংগ্রেসে ডাটা সায়েন্স, রোবটিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
সেমিনারে বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যাকে ‘ইতিবাচক’ দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করে মন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং বৃদ্ধি বাংলাদেশের উন্নয়নের কারণ। কবিতা পাঠের মাধ্যমে তিনি বলেন, ‘চেষ্টা করলে বাঙালির কাছে অসাধ্য কিছু নয়’।
এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। বাংলাদেশের দক্ষতা অর্জনে তরুণদের নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করতে হবে।
বিশেষ অতিথি আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, দেশে বৃহত্তর ডিজিটাল পরিবর্তন সম্পন্ন হয়েছে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের প্রতি নতুন পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে জেতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস এবং মেকানিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষক ডঃ লাফিফা জামাল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশকে ভোক্তা নয়, সরবরাহকারী হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। তিনি বলেন গবেষকদের শিল্পকারখানা ও সরকারের একসাথে কাজ করা প্রয়োজন, না হলে কাজগুলো শুধু প্রোটোটাইপ হিসেবেই থেকে যায়। তিনি গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে স্থানীয় কোম্পানি ও সরকারের বিনিয়োগের অভাব এর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এল এম এরিকসন বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আব্দুস সালাম।
আলোচক হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ এহসানুল কবীর, জেডটিই কর্পোরেশন দক্ষিণ বিষয়ক চীফ মার্কেটিং অফিসার লিউ ঝেন উ, ডাটা সফট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান, নোকিয়া বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড আরিফ ইসলাম।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ছিলেন ডঃ লাফিজা জামাল, অধ্যাপক । আলোচক হিসাবে আরও ছিলেন
ডিজিটাল রূপান্তরঃ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে অর্থনীতির চালিকা শক্তি শীর্ষক সেমিনারের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডঃ শামসুল আলম, প্রতিমন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর এনামুল হক, ডীন, ফ্যাকাল্টি অফ বিজনেস এন্ড ইকোনোমিক্স, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি। সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা, সভাপতি ইকোনমিক রিপোর্টস ফোরাম (আইআরএফ)।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসাবে ছিলেন মামুন রশিদ, কান্ট্রি ক্লায়েন্ট এন্ড মার্কেট লিড, পিডাব্লিউসি বাংলাদেশ। এছাড়াও আলোচক হিসেবে ছিলেন জনাব এ কে এম হাবিবুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড, জনাব মোঃ মোকাররবীন মান্নান, প্রধান ডিজিটাল কর্মকর্তা, ইউসিবি ফিনটেক কোম্পানি লিমিটেড (উপায়), জনাব আমিনুল হক নির্বাহী পরিচালক নগদ, জনাব এরিক অস, সিইও, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন।
প্রধান অতিথি ডঃ শামসুল আলম বলেছেন ২০১১ সালের পর থেকে বাংলাদেশে (এমএফএস) বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এবং ডিজিটালাইজেশনে জনশক্তি গড়ে উঠেছে। সাথে তিনি অশ্লীল কনটেন্ট ফিল্টারিং করতে সবাইকে একত্ববদ্ধ থাকতে বলেছেন। বিশেষ অতিথি প্রফেসর এনামুল হক নতুন স্টার্টআপ তৈরি করতে এবং বিদ্যমান স্টার্টআপ গুলো ধরে রাখার জন্য সরকারকে নিখুঁত নীতিমালা ফোনের আহ্বান জানিয়েছেন। মূল প্রবন্ধ স্থাপক সবাইকে টেকনোলজির পরিবর্তনগুলো মানিয়ে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। মহামারীর পরে আইওটি এবং ক্লাউড একটা বিশাল মাইলফলক হিসেবে দাঁড়িয়েছে এবং ফেসবুক কমার্স একটি যুগান্তকারী ভূমিকা অর্থনীতিতে রাখছে। এছাড়াও বাংলালিংকের সিইওএরিক বলেছেন, বাংলাদেশে এখন ফাইভ-জি এর থেকে সকল স্তরে ইন্টারনেট সেবা দান করা তাদের মূল লক্ষ্য। এবং তিনি আরও উল্লেখ করেন যে এম এফ এস এস ও অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে মানুষের জীবনমান আরো উন্নত হয়েছে।