যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন ভারতীয় ও একজন বাংলাদেশি নাগরিক।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জিনোম সিকুয়েন্সের মাধ্যমে করোনার নতুন এ ধরন শনাক্ত করেন।
যবিপ্রবির জিনোম সেন্টার থেকে জানানো হয়, ভারতীয় দুই নাগরিকের মধ্যে একজন পুরুষ, তার বয়স ৩০ বছর। ভারতীয় ওই নারীর বয়স ৪১ বছর। তাদের মধ্যে করোনার তেমন কোনো উপসর্গ নেই। বাংলদেশি নাগরিক একজন পুরুষ এবং তার বয়স ২৫ বছর। যিনি স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন বলে গবেষক দলটি ধারণা করছে। তার তিনদিন ধরে ঠান্ডা, গলাব্যথা ছাড়া অন্য কোনো উপসর্গ নেই।
গবেষণা দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ।
অন্য সদস্যরা হলেন-বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসান মো. আল-ইমরান, অণুজীববিজ্ঞন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শোভন লাল সরকার, এ এস এম রুবাইয়াতুল আলম, প্রভাষক শামিনুর রহমান, জিনোম সেন্টারের গবেষণা সহকারী প্রশান্ত কুমার দাস, আলী আহসান সেতু ও তৌকির আহম্মেদ প্রমুখ।
গবেষক দলটি জানিয়েছে, এরই মধ্যে করোনার নতুন এ ধরনের স্পাইক প্রোটিনে ৩০টিরও বেশি মিউটেশন বিদ্যমান। ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া তিনজনের ডাটা জিএসআইডি ডাটাবেজে জমা দেওয়া হয়েছে।
করোনার নতুন এ ধরণটি শনাক্তের বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ওমিক্রন খুবই দ্রুত সংক্রমনশীল। এ জন্য টিকা গ্রহণ, মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তিনি জানান, করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন শনাক্তের কাজটি জিনোম সেন্টারে অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ধরণটির স্থানীয় সংক্রনের বিষয়টিও যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে শনাক্ত করা হয়।
ওমিক্রন শনাক্তের কাজটি জিনোম সেন্টারে অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।