যথাযোগ্য মর্যাদা ও আড়ম্বরে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে গত ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষ্যে অনন্য আলোক সজ্জায় জাদুঘর ভবন সজ্জিত করা হয়। এছাড়া শিশু-কিশোর এবং কর্মকর্তা- কর্মচারীদের নিয়ে আয়োজন করা হয় বিজয় দিবস স্মারক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর মুক্তিযুদ্ধের গানে সরব হয়ে ওঠে জাদুঘর এলাকা। জাদুঘরের লনকে আকর্ষণীয় সাজে সজ্জিত করা হয়। জাদুঘরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাঁদের সন্তানরা লনে নানা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
এছাড়া সংস্থার সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জানানো হয় বিশেষ সংবর্ধনা। এছাড়া সংস্থার নিম্ন আয়ের কর্মচারীদের জন্য বিজয় দিবস স্মারক বিশেষ উপহার প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী স্মারক উপহার প্রদান করা হয়। সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য জাদুঘর পরিদর্শনের সুযোগ করা হয়। এতে প্রায় অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। নানা অনুষ্ঠানে পুরো জাদুঘরে চলে উৎসবের আমেজ ।
আলোচনা সভায় জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “ কোনভাবেই বৈষম্য সৃষ্টি করা যাবেনা, বৈষম্য সৃষ্টি করা অনেক বড় মাপের অপরাধ।শ্রমের মর্যাদা দিতে হবে, বৈষম্যকে কেন্দ্র করেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। সুতরাং অফিস আদালতে, সমাজে, সরকারি কার্যক্রমে এবং রাষ্ট্রের কোথাও বৈষম্য রাখা যাবেনা। কঠোর সততা ও দেশপ্রেম নিয়ে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে”।