রবিবার ‘হেপাটাইটিস রোগের সতর্কতা’ বিষয়ক বিজ্ঞান বক্তৃতা করলো জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর। ভার্চুয়াল এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৩ জন শিক্ষার্থী এরা হলেন সিরাজুম মুনিরা, উম্মে হাবিবা ইলমা ও আশিকুর রহমান সোম। প্রতিযোগিতায় সেরা বক্তা হয়েছেন সিরাজুম মুনিরা।
অনুষ্ঠানে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী।
এসময় তিনি করোনার এ বৈশ্বিক মহামারিতে কোনভাবেই যেনো হেপাটাইটিস-বি কে অবহেলা করা না হয় সে বিষয়ে সতর্ক বার্তা দেন। বক্তব্যে স্কুল, কজেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দূষিত খাবার, দূষিত পানি এবং মাদকদ্রব্য বর্জনের শপথ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিশেষ করে খোলা খাবার এবং হোটেল-রেস্টুরেন্টের ব্যবহৃত গ্লাস-কাপের অবাধ ব্যবহার হেপাটাইটিস-বি এর জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এছাড়া হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসকদের অনেক সতর্ক ও কর্তব্যনিষ্ঠ হতে হবে, যেন চিকিৎসা সামগ্রির স্টেরিলাইজেশন নিশ্চিত করা হয়। বিশ্বব্যাপি প্রায় ৩৩কোটি লোক হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত, যা মানবজাতির জন্য অশনিসংকেত। এসব নিয়ে প্রচুর গবেষনার প্রয়োজন আছে, এ গবেষনাকেই কেন্দ্র করে ২০২০ সালে ৩জন বিজ্ঞানী কে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।”
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলেয়া বেগম বলেন, “অসর্তকতার কারণে হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। হোস্টেল ও মেসে সতর্ক জীবনজাপন করতে হবে।”
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির চিফ মেডিকেল অফিসার ড. শেখ মঈনুল হোসেন বলেন, “মানুষের অবহেলা ও অসচেতনতার কারণে হেপাটাইটিস রোগ ছড়াচ্ছে। এ রোগকে অবহেলার কারণে অনেকে আমলে নিচ্ছে না। ফলে তা’ ক্রনিক হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ডেন্টাল হাসপাতালে দাঁতের স্কেলিং ও ফিলিং থেকে সি ভাইরাস ছড়াচ্ছে। এ থেকে সাবধান থাকতে হবে।”
তিনি হেপাটাইটিস থেকে বাঁচতে ১মাস-৩মাস-৬মাস এর বুস্টিং ডোজ অর্থাৎ টিকা নেয়ার পরামর্শ দেন।
কোভিডের জন্য তিনি স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন, টিকা গ্রহণ সর্বোপরি মহান স্রষ্টা আল্লাহ তা’আলার সাহায্য প্রার্থনা করার কথা উল্লেখ করেছেন।