দেশের তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এখন ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান, চায়না এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশের সেবা ও অবকাঠামোর তুলনা করা দেখে গর্ব প্রকাশ করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। জানিয়েছেন, এবার গ্রামের প্রত্যেকটি স্কুল ও সরকারি অফিসে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সংযুক্ত করা হবে। দুর্গম দ্বীপে সব ধরনের প্রযুক্তি সেবা।
এসব পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে সরকারর দূরদর্শী পরিকল্পনায় ডিজিটাল সুবিধার কল্যাণে মাত্র ১২ বছরে পিছিয়ে পড়া অনুন্নত বাংলাদেশ এখন বঙ্গবন্ধুর বৈষম্য মুক্ত সোনার বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিশ্বের ৮৫ দেশের অংশ গ্রহণে ওয়ার্ল্ড ইনফরশেন টেকনলোজির রজত জয়ন্তী সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিব্যক্তিই উঠে আসে পলকের কণ্ঠে। এই সম্মেলনে ডিজিটাল বাংলাদেশের না বলা কথাগুলো তুলে ধরার প্রত্যয়ের কথা ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
সরকারর দূরদর্শী পরিকল্পনায় ডিজিটাল সুবিধার কল্যাণে মাত্র ১২ বছরে পিছিয়ে পড়া অনুন্নত বাংলাদেশ এখন বঙ্গবন্ধুর বৈষম্য মুক্ত সোনার বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন পলক।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যৌথ আয়োজনে বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১১ থেকে শুরু হয়ে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন।
সংবাদ সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. আব্দুল মান্নান, বিসিএস সভাপতি শাহিদ উল মুনীর বক্তব্য রাখেন ।
অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন উইটসা মহাসচিব ড. জেমস এইচ পয়স্যান্ট।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১১ নভেম্বর দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি)-ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ডব্লিউ আিইসিটি ২০২১ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।
১১ নভেম্বর মিনিস্টেরিয়াল কনফারেন্সে কি-নোট স্পীকার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। সরাসরি যেগ দেবেন মালোয়েশিয়া সহ কয়েকটি দেশের মন্ত্রী। এছাড়াও ফিজিক্যালি এবং ভার্চুয়ালি দেশি বিদেশি মন্ত্রীগণ যুক্ত থাকবেন।
১২ নভেম্বর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে স্বাধীন সর্বোভৌম রাষ্ট্র ও তথ্য প্রযুক্তিতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর গৃহিত উদ্যেগসমূহ উপস্থাপন করা হবে। এ দিনে ‘অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড নাইট’ অনুষ্ঠানে এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।
১৩ নভেম্বর, সন্ধ্যায় সারা বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।
১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে, ডব্লিউসিআইটি এর রজত জয়ন্তী উদযাপিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৪ দিনব্যাপী এ সম্মেলনে থাকছে ৩০টি সেমিনার, মিনিস্টারিয়াল কনফারেন্স এবং বিটুবি সেশন। আধুনিক ইন্টারনেটের অন্যতম জনক ভিন্টনগ্লেসার্ফ ও রবার্ট কান সেমিনারে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন। তাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন আধুনিক ইন্টারনেটের অন্যতম জননী ড. রাদিয়া পারম্যান ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের উদ্ভাবক স্যার টিমোথি বারনার্স লি। ইন্টেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান ওমর এস ইশরাক ও নাসার সদর দপ্তরের এজেন্সি ও পারফর্মেন্সের ডেপুটি সিএফও ডাউগ কমস্টক সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের কমিশনার ভিক্টর ক্যালিস ভবিষ্যৎ স্মার্ট সিটি বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন।
ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) চিফ স্টাডি গ্রুপস ডিপার্টমেন্টের বিলেল জামৌসি বক্তৃতা করবেন। একটি সেমিনারে অংশ নেবেন আইএমডি স্মার্ট সিটি অবজারভেটরির সভাপতি ড. ব্রুনোপ্যানভিন। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনলাইনে বিভিন্ন বক্তা একাধিক সেমিনারে সংযুক্ত হবেন।