বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী ১১ নভেম্বর উদ্বোধন হবে তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ব সম্মেলনের রজত জয়ন্তী। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের বছরে হাইব্রিড মডেলে অনুষ্ঠিত হবে চার দিনের এই তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক। সম্মেলনে সাধারণ ও কারিগরি এবং সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে চার ক্যাটাগরিতে ঘোষণা করা হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২১।
পুরো আয়োজনে আইসিটি বিভাগের সঙ্গে থাকছে তথ্য-প্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (ডাব্লিউসিআইটি), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে গত ২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় সম্মেলনের প্রস্তুতি সভা। সভা থেকে আইসিটি খাতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ব্যক্তি, দল ও প্রতিষ্ঠানকে অনুপ্রেরণা, উৎসাহ ও উদ্দীপনা যোগানো এবং স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২১’ ঘোষণার লক্ষে মনোনয়ন বা আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির শক্তিতে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি দেশ কীভাবে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের কাতারে যেতে পারে সেই প্রেক্ষাপটে পুরো আয়োজন সাজানোর সিদ্ধান্ত হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাছাই কমিটি সাধারণ ও কারিগরি পৃথক ২টি ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলাদাভাবে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, দল ও প্রতিষ্ঠান-এ তিনটি শ্রেণিতে ১টি করে মোট ১২টি প্রস্তাব বাছাইয়ের স্বপক্ষে কারণ উল্লেখ পূর্বক সুপারিশসহ কেন্দ্রীয় বাছাই কমিটির কাছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি তালিকা করবে।
এর আগে বাছাই কমিটি জমাকৃত আবেদন যাচাই-বাছাই করে পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করবে ৩০ সেপ্টেম্বর। পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর সুপারিশকৃত আবেদনসমূহ ‘জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র নিকট প্রেরণ করা হবে। এরপর চলতি বছরের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে ২০২০ (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) সালের কর্মকান্ড বিবেচনাপূর্বক ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২১’ পুরস্কার প্রদান করা হবে।
আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব নিয়াজ মোহাম্মাদ জিয়াউল আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মোহাম্মাদ আফজাল হোসোন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের (পিএমও) তোফাজ্জল হোসেন মিয়া,বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল কবির, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শাহিদ উল মুনীর, অ্যাসোসিও এর সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ এইচ কাফি প্রমুখ সংযুক্ত ছিলেন।