এক বেলার আহারের সহায়তা না করে সারা জীবনে জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশ উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি জানিয়েছেন, আইটি স্টার্টআপকে উৎসাহিত করতে মুজিব বর্ষে সরকার ৫০টি স্টার্টআপকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। এর মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ, আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান প্রদান, প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশনের ব্যবস্থা এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে অন্যদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার যোগ্যতা তৈরিতে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনাকালে আমারা প্রযুক্তির শক্তিকে ব্যবহার করে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা নিয়ে সরকার ইতোমধ্যে জাতীয় তথ্যসেবা নম্বর ৩৩৩ থেকে ৩ কোটি সেবা দিয়েছে। একইভাবে টেলিমেডিসন সেন্টার থেকে ৪০ লাখ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ২২টি স্টার্টআপ সরকারকে সহযোগিতা করেছে। এটুআই এর একশপ, এক পে থেকে পণ্য ও জরুরী ঔষধ বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সারা দেশে ই-কমার্সে প্রায় ৩০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
এছাড়াও মেড ইন বাংলাদেশ পন্য স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে জানিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আত্মকেন্দ্রিক নয়, একটি আত্ম নির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতেই এসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দেশের ৯০ শতাংশ মাঝারি, ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ট্রেড লাইসেন্স দেয়া, কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন দিতে আইসিটি বিভাগ থেকে মাস্টার ক্লাস শুরু করা হয়েছে। আগামীতে শিল্পমন্ত্রণালয়ের সহায়তায় এই মাস্টারক্লাস আরো সম্প্রসারিত করা হবে। তাদের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে আরো সহযোগিতা করা হবে।
রবিবার আন্তর্জাতিক এসএমই দিবস ২০২১ উপলক্ষে অনলাইন প্লাটফর্মে আয়োজিত আলোচনা সভায় দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মাদ মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আক্তার হোসেন এবং ইউএনআইডিও’র রিজিওনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ অব এশিয়া মি. ভ্যান র্যাঙ্কেল রেনি।