গ্র্যান্ড থেফট অটো ৫, এনবিএন ২কে১৯ এবং প্রো এডিশন সকার ২০১৮-এর মতো জনপ্রিয় বিনামূল্যে ডাউনলোড করা গেমগুলোর আড়ালে চলছে ক্রিপ্টোমাইনিং। আর এই কাজটা করছেন হ্যাকাররা।
বিভিন্ন ফোরাম থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করার সুযোগ দিয়ে ফ্রি গেমের অনেকগুলোতেই ম্যালওয়্যার আকারে ছড়িয়ে দেওয়া আছে ক্রিপ্টোমাইনিংয়ের কোড। যার ভিতরে লুকানো রয়েছে ক্রিপ্টো-মাইনিং ম্যালওয়্যারের একটি অংশ যার নাম ক্র্যাকোনশ। চেক লোকগাথা অনুসারে ক্র্যাকোনশ শব্দটির অর্থ “পাহাড়ের আত্মা”।
বিনামূল্যে গেম ডাউনলোড হয়ে গেলে এই পাহাড়ের আত্মা ব্যাবহার করে গোপনে ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং করে বলে প্রমাণ পেয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা সফটওয়্যার সংস্থা অ্যাভাস্টের গবেষকরা।
তাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, “ক্র্যাক করা” এই গেমগুলির মাধ্যমে দ্রুত ক্র্যাকোনশ ছড়িয়ে দিচ্ছে হ্যাকারারা। এর মাধ্যমে উইন্ডোজ আপডেট থামিয়ে দেয়ার পাশাপাশি সকল নিরাপত্তা সফটওয়্যার আনইনস্টল করে ফেলা হয়। এরপর ডিভাইসে ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং প্রোগ্রাম ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে মালিকের অজান্তেই। এ সময়-তাদের কম্পিউটারে কাজের গতি ধীর হয়ে যেতে পারে, অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন পার্টস ক্ষয়ে যেতে পারে এবং বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাতে পারে বলে সতর্ক করেছে অ্যাভাস্ট কর্তৃপক্ষ।
তাদের হিসেব অনুযায়ী, এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ইতোমধ্যেই ‘মোনেরো’ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে দুই মিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করেছে অপরাধীরা।
গবেষকরা এখন পর্যন্ত এক ডজনেরও বেশি দেশে এই ম্যালওয়্যারের খোঁজ পেয়েছেন। এর মধ্যে – ফিলিপিন্সে ১৮ হাজার ৪৪৮ জন, ব্রাজিলে ১৬ হাজার ৫৮৪ জন, ভারতে ১৩ হাজার ৭৭৯ জন, পোল্যান্ডে ১২ হাজার ৭২৭ জন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১১ হাজার ৮৫৬ জন এবং যুক্তরাজ্যে আট হাজার ৯৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার বাড।