বিদায়ী ২০২০ সালে বার্ষিক কর্মসম্পাদনে ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন মূল্যায়নের ৭৬টি সূচকের মধ্যে ৬৫টিতে শতভাগ সফলতা অর্জন করে মন্ত্রণালয় সেরা হয়েছে।
৩টি সূচকে শুন্য অবস্থানে থেকেও অর্জন করেছে সর্বোচ্চ ৯৪.৯৭ নম্বর।
সহকর্মীদের নিয়ে দক্ষতা ও দায়বদ্ধতার এমন নজির স্থাপন করায় এজন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এ সংক্রান্ত চিঠিতে বাকি তিন সূচকেও সফলতার জন্য আরেকটু আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের সঠিক দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানের কারণেই এ সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে আছে।
তিনি বলেন. বিগত ১২ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের যথাযথ অবকাঠামো গড়ে উঠার কারণে কোভিড-১৯ মহামারিতেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আদালত ও সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টার পরিকল্পনা অনুযায়ী আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে করোনা পরিস্থিতিতে সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে বিজনেস কন্টিনিউটি প্ল্যান প্রনয়ণ করা হয়।
এছাড়াও করোনা মহামারী মোকাবেলায় করোনা বিডি অ্যাপ এবং কন্টাক্ট ট্র্যাসিং অ্যাপ, করোনা পোর্টাল, করোনা হেল্পলাইন ৩৩৩, টেলি-হেলথ সেন্টার, টেলিমেডিসিন নেটওয়ার্ক, প্রবাস বন্ধু কলসেন্টারসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে আইসিটি বিভাগ থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও ফ্রিল্যান্সাররা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। বর্তমানে রাজধানীর সাথে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সকল এলাকার মধ্যে ডিজিটালি কোন দূরত্ব নেই।
প্রসঙ্গত, সরকারি প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রবর্তন করা হয় এই বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি।