গ্যাসের চুলা বা সিলিন্ডার থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকান্ড রোধে প্রযুক্তির ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞান জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী। আর দেশীয় প্রেক্ষাপটে এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উদ্ভাবকদের অনুপ্রেরণা ও প্রণোদনা দিতে জাদুঘর প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে আগ্নি-নিরাপত্তায় প্রযুক্তি খাতের অর্থ সার্ভিস চার্জ থেকে সংস্থানে গুরুত্বারোপ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে “ঘরে ঘরে অগ্নি দুর্ঘটনার ঝুঁকিঃ সমাধানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি” শীর্ষক অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রাণবন্ত সেমিনারে এই আহ্বান জানান তিনি।
মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “ঘরে ঘরে গ্যাস দুর্ঘটনা, মানুষ পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। রান্না শেষে গ্যাসের চুলা আমরা নিভাই না। চুলা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করি না। নিম্নমানের চুলা ব্যবহার করি। অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করি। বিল্ডিং কোড মানতে চাই না। নির্বিবেকে আইন ভেঙে সরকারকে দায়ী করি। সরকার একা কিছু করতে পারেনা। নাগরিক হিসেবে আমাদের অস্থিমজ্জায় ছড়িয়ে আছে আইন অমান্যতা। গ্যাসের চুলা বা সিলিন্ডার থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকান্ড রোধে প্রযুক্তির ব্যবহার এখন সময়ের দাবি। প্রযুক্তির উদ্ভাবনে বিজ্ঞান জাদুঘর উদ্ভাবকদের অনুপ্রেরণা যোগাবে ও প্রণোদনা দেবে। আমরা এমন প্রযুক্তি দেখতে চাই, যা’ স্মার্ট ফোন বা সেন্সরের মাধ্যমে তাৎক্ষিণিক অগ্নিকান্ডের বার্তা দেবে এবং বাসিন্দাদের সতর্ক করবে। ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে লাখ লাখ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয়া হয়। তার একটি অংশ বাসিন্দাদের অগ্নি নিরাপত্তায় ব্যয় করা উচিত”
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মো: মামুনুর রশীদ এ্যাডজুটেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্স।
মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক ড. মনন মাহবুব এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপ- প্রধান বয়লার পরিদর্শক প্রকৌশলী মো: জিয়াউল হক। কভিড-১৯ স্বাস্থ্য বিধি মেনে অনুষ্ঠানে অংশ নেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সরকারি কর্মকর্তারা। সেমিনারে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন ছড়ালে তা’ নিভানোর উপর হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।