প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবকদের নিয়ে কুমিল্লার কান্দিরপাড় টাউন হলে অনুষ্ঠিত হলো “রোড টু স্টার্টআপ এন্ট্রাপ্রেনিউরশীপ অ্যান্ড ইনোভেশনস্” বিষয়ক উদ্যোক্তা মেন্টরিং প্রোগ্রাম।
শনিবার অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা-৬ আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী, আইসিটি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আবুল ফজল মীর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে আমরা দেশের অসংখ্য উন্নয়ন করতে পারছি। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে সময়কে কাজে লাগাতে হবে এবং দুর্নীতিকে না বলতে হবে।
এসময় তরুণ উদ্ভাবকদের মেধা, সৃজনশীলতা ও মানসিক শক্তিকে কাজে লাগাতে উৎসাহিত করেন। তিনি বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা এবং সরকারের বিভিন্ন সফলতার বিষয় ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি তরুণদের উদ্ভাবন ও তা বাস্তবায়নের ভূমিকা উল্লেখ করেন মন্ত্রী
বিশেষ অতিথি হিসেবে কুমিল্লা ৬ আসনের সাসংদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার কুমিল্লার বিভিন্ন অর্জনের কথা তুলে ধরেন। তরুণদের মাঝে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উল্লেখ্যযোগ্য বিভিন্ন স্মৃতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চিত্র বর্ণনা করেন। সবশেষে, কুমিল্লার বিভিন্ন স্থান থেকে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীসহ উদ্ভাবকদের এই অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তিতে উন্নয়নের একটি চিত্র বক্তব্যের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন বিশেষ অতিথি এন এম জিয়াউল আলম ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী তরুণদের উদ্ভাবনের গুরুত্ব এবং দেশের খাদ্য, পুষ্টি সমস্যা নিরসনে উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তা তাঁর বক্তব্যে বিভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে তুলে ধরেন।
অপরদিকে স্টার্টআপ কুমিল্লার এ ধরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তরুণদের একজন সফল উদ্যোক্তায় পরিণত হবার জন্য অনুপ্রাণিত করেন প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক।
সভাপতির বক্তব্যে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর সকলকে ধন্যবাদ জানান। এ ধরনের অনুষ্ঠান তরুণসহ সকলকে অনুপ্রাণিত করবে বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে একটি দিনব্যাপী মেন্টরিং প্রোগ্রাম আয়োজন করে স্টার্টআপ কুমিল্লা। আইডিয়া জেনারেশন, বিজনেস প্রেজেন্টেশন, আর্ট অব বিজনেস মডেল ক্যানভাস, পিচিংসহ বিভিন্ন বিষয় এই মেন্টরিং প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মেন্টরিং প্রোগ্রাম শেষে পিচিং কম্পিটিশন আয়োজনের মাধ্যমে বাছাইকৃত স্টার্টআপসমূহ আইডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা প্রি-সীড গ্র্যান্টের জন্য সরাসরি আবেদন করতে সক্ষম হবে এবং একই সাথে সরাসরি আইডিয়া প্রকল্পের সিলেকশন কমিটির সামনে প্রি-সীড গ্র্যান্টের জন্য পিচিং করার সুযোগ পাবে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং খুলনার পর এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কুমিল্লাতে “স্টার্টআপ বাংলাদেশ” ব্যানার নিয়ে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করার লক্ষ্যে কমিউনিটি ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে আইডিয়া প্রকল্প এবং একই সাথে বিভিন্ন ইভেন্ট, প্রশিক্ষণ, সেমিনারসহ নানাভাবে সারা বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে আইসিটি বিভাগের এই প্রকল্পটি। কুমিল্লার উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইডিয়া প্রকল্পের সিনিয়র পরামর্শক আর এইচ এম আলাওল কবিরসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী এবং আরো অনেকে।