আইসিটিতে ক্যারিয়ার গড়তে রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা। তথ্যপ্রযুক্তি, কম্পিউটার ও অনলাইন সেক্টরের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা নিয়ে মেলায় ছিলো ক্যারিয়ার নিয়ে নির্দেশনা। ছিলো ১৮টি স্টল; যেখানে চাকরির আবেদন করে অনস্পট চাকরির আবেদন করতে পেরেছেন অংশগ্রহণকারীরা।
মেলা উপলক্ষে রোববার (২১ মে) দুপুরে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে ২০ জন স্মার্ট নারীর প্রত্যেকের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে স্মার্ট উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য শিক্ষিত তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম শুরু করেন।
আজ দেশের আইসিটি সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আর নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশের এ অগ্রযাত্রায় আইসিটি সেক্টর একটা বড় ভূমিকা রেখেছে।
এ ধরনের স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা সম্ভাবনার নবদিগন্ত উন্মোচন করবে উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, এ মেলায় ২৩টি স্টল রয়েছে। যাদের মূল চাওয়া হচ্ছে রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা উপজেলার বেকার তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থান তৈরি করা। তবে যারা এ মেলায় চাকরি পাবেন না, তাদেরও বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলা ও কাজের সুয়োগ তৈরি করে দেওয়া হবে। দেশের অনেকেই আজ আইসিটির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশের আজকের উন্নয়নের পেছনের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র হচ্ছে আইসিটি। দেশের আইসিটি সেক্টরে নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে। বর্তমানে এ খাত থেকে বাংলাদেশের আয় ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন। এর পেছনের মূল কারিগর সজীব ওয়াজেদ জয়। আমাদের লক্ষ্য আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সজীব ওয়াজেদ জয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও স্মার্ট এবং জনগণকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। আর সেই লক্ষ্যও পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন, চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম, পৌর মেয়র একরামুল হক, চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহরাব হোসেন, বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন।