‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে’র আওতায় এক কোটি তিন লাখ টাকা ভর্তুকি মূল্যে তিনটি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিন, ৪০টি পাওয়ার থ্রেসার, ১০টি করে মেইজ শেলার ও পাওয়ার স্পেয়ার ও একটি ক্যারেট ওয়াসার বিতরণ করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
শুক্রবার নাটোরের সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিস হলরুমে স্মার্ট কৃষি যন্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আল ইমরান। কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন। গ্রামকে অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছেন। এবং তার নেতৃত্বেই দেশের কৃষি স্মার্ট হচ্ছে প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দর্শন অনুসরণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। বিদ্যুতের আলোয় গ্রামগুলো জেগে উঠেছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সড়ক, ইন্টারনেটসহ সকল নাগরিক সুবিধা এখন গ্রামে পৌঁছে গেছে। ২০১০ সাল থেকে দেশে আট হাজার ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে হাতের মুঠোয় ২০১টি নাগরিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এসব সেন্টার থেকে ঘরে বসেই জমির পরচা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, এজেন্ট ব্যাংকিং, ই-কমার্স, পাসপোর্টের আবেদন করতে পারছেন তারা। এর মধ্য দিয়ে নাগরিক সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা ও দুর্নীতি রোধ করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরো বলেন, কৃষিতে শ্রম সংকটের নিরসনে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে হারভেস্টর, পাওয়ার থ্রেসারসহ প্রয়োজনীয় কৃষি যন্ত্র প্রদান করা হচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি আর প্রশিক্ষণ প্রদানের ফলে কৃষির উৎপাদন বেড়েছে বহুগুণে। । ২০১০ সাল থেকে দেশে আট হাজার ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে হাতের মুঠোয় ২০১টি নাগরিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এসব সেন্টার থেকে ঘরে বসেই জমির পর্চা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্ত্তি, এজেন্ট ব্যাংকিং, ই-কমার্স, পাসপোর্টের আবেদন করতে পারছেন তাঁরা। এর মধ্য দিয়ে নাগরিক সেবা গ্রহনের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা ও দূর্নীতি রোধ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে নাটোরের সদ্য বিদায়ী কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেলিম রেজা, নবাগত কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার ফরিদ উদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান ও সুবিধা গ্রহণকারী কৃষক শহিদুল ইসলাম।