নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে বন্ধ করার নির্দেশনা না দিলেও দেশের বেশ কিছু স্থান থেকে শর্ট ভিডিও তৈরির প্ল্যাটফর্ম টিকটক ব্যবহার করতে পারছেন না এর ব্যবহারকারীরা। সূত্রমতে, রবিবার বিকেল তিনটার দিকে কোনো কোনো স্থান থেকে দফায় দফায় চেষ্টা করেও টিকটক-এ প্রবেশ করতে পারেননি তারা।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, কনটেন্টের ছবি ও ব্যবহারকারীদের প্রোফাইলের ছবি দেখা যাচ্ছে না। দুপুরের পর থেকে ভিডিও আপলোড করতে পারছেন না।
এ নিয়ে আইআইজি ফোরামের মহাসচিব আহমেদ জুনায়েদ ডিজিবাংলাকে বলেন, টিকটক বিষয়ে অনেক অভিযোগ পাচ্ছি। আমরাও দেখেছি টিকটক ব্যহৃত হচ্ছে না। টিকটকের ট্রাফিক নেই বলেই চলে। তবে টিকটক বন্ধ বা এ বিষয়ে কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে কোনো ধরনের নির্দেশনা এখনো পাইনি।
দেশের সবজায়গাতেই একই অবস্থা জানালেও কী পরিমাণ টিকটকার বাংলাদেশে রয়েছে তার কোনো পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে গুগল, ফেসবুকের মতো টিকটকের নিজস্ব কোনো সিডিএন নেই। তারা ক্লাউডে হোস্ট করে। ফলে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়া সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইআইজি প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ টেকনোলজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির ডিজিবাংলাকে বলেন, বিকেল ৩টা পর থেকে তারা টিকটকের ট্রাফিক অনেক কম দেখতে পাচ্ছেন। তিনি জানান, প্রতি সেকেন্ডে টিকটকে যেখানে ৫০ জিবির ওপরে ব্যান্ডউইডথ যেত, তা বিকেলের পর একেবারে শূন্য দেখা যায়।
দিনে টিকটক-এ কী পরিমাণ ব্যান্ডউথ ব্যবহৃত হয় প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোট ব্যবহৃত ব্যান্ডউইথের সিকি বা এক চতুর্থাংশ বা পঞ্চমাংশই ব্যবহৃত হয় টিকটক-এ।
এদিকে টিকটক বন্ধ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা না দেয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বন্ধ করি নি।’