আগামীতে অনলাইনেও যেনো শিক্ষকেরা নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোচিং কিংবা প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। যদি কোনও শিক্ষক অনলাইনে নিজ শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেট টিউশন করান তাহলে তিনি অসদাচরণের দোষে দুষ্ট হবেন। এজন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে শিক্ষা আইনের খসড়ায়।
অনলাইনে কোচিং করানোর বিষয়ে ওই খসড়ায় বলা হয়, ‘কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে অর্থের বিনিময়ে ইলেকট্রনিক বা অনলাইন পদ্ধতিতেও প্রাইভেট টিউশন বা কোচিংয়ের মাধ্যমে পাঠদান করিতে পারিবেন না; এবং করিলে উহা অসদাচরণ গণ্যে শাস্তিযোগ্য হইবে।’
এতে আরো বলা হয়েছে, ‘কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট টিউশনের মাধ্যমে পাঠদান করিতে পারিবেন না। তবে শর্ত থাকে যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পিছাইয়া পড়া শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করিয়া সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের লিখিত সম্মতি সাপেক্ষে স্কুল সময়ের পরে বা পূর্বে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধি বা নীতিমালা অথবা জারিকৃত পরিপত্র বা নির্বাহী আদেশ অনুসরণপূর্বক অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।’
তবে ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট টিউশনের মাধ্যমে পাঠদানের উদ্দেশ্যে কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা বা কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করা এই আইনের অধীন নিষিদ্ধ গণ্য হইবে না। তবে শর্ত থাকে যে, কোচিংয়ের শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলাকালীন সময় কোচিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না; এবং করা হইলে উক্ত শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে এবং উক্ত কোচিং সেন্টারের অনুমোদন ও নিবন্ধন বাতিলযোগ্য হইবে।’
খসড়া আইনটি সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে বিলটি মন্ত্রিসভায় উঠানো হবে বলে জানিয়ছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে তার আগে খসড়াটির চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে। এরপর মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক। তিনি জানান, বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন হলে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে।