ছোট বেলা থেকেই প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার শেখ রাসেল দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
শিক্ষা প্রতিটি মানুষের জীবনের বড় সম্পদ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, করোনার সময়ে শিক্ষাদান কিছুটা ব্যাহত হলেও ডিজিটাল শিক্ষার সম্প্রসারণে ক্ষতি কিছুটা লাঘব হয়েছে। বর্তমান সরকার শিক্ষার আধুনিকায়নে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্পকলা-সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু-এ ৫টি ক্যাটাগরিতে প্রতিটি এক ভরি করে ১০টি ‘শেখ রাসেল স্বর্ণপদক’, ১০টি ল্যাপটপ ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
শিক্ষা ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক পেয়েছেন রণিত অধিকারি, মোছা: তাসনিম জাহান মিসৌরি, শিল্পকলা সাহিত্য ও সংষ্কৃতি ক্যাটাগরিতে ফাইরুজ মালিহা ও বিপ্রজিত সরকার। ক্রীড়া ক্যাটাগরিতে যুথী আক্তার ও কাজী মোস্তাহিদ লাহিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে সপ্তর্শী রহমান এবং মাহাবিবিন হাসান ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু মোছা: রিয়া আক্তার।
অনুষ্ঠানে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উদ্যোগে সারাদেশে আয়োজিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতারও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। একইসঙ্গে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং স্টেডিয়াম প্রান্তে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে রোলার স্কেটিং প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং ‘শেখ রাসেল শৈশবে ঝরে যাওয়া ফুল’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রকাশিত ‘শেখ রাসেল দৃপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’ শীর্ষক বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ পরিবেশিত শেখ রাসেলের দুরন্ত শৈশব ভিত্তিক অডিও ভিজ্যুয়াল পরিবেশনা ‘শেখ রাসেল এক অনন্ত বেদনার কাব্য’ এবং ‘থিম সং’ পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়পর্বে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উদ্যোগে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও পরিবেশিত হয়।