নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান প্রক্রিয়া হওয়ায় সবগুলো অনলাইন একসঙ্গে বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে আদালতের কাছে ‘যাচাই বাছাই’ করার আবেদন করবে তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগ।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন আভাস দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘দেশে এত বেশি অনলাইনের প্রয়োজন নেই। থাকা সমীচীনও নয়। অনলাইন বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে সেটি আমরা গণমাধ্যমে শুনেছি। এখনও নোটিশ পাইনি। আদালতের নির্দেশ পেলে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আমরা কিছু অনলাইন বন্ধ করে দেব। পাশাপাশি আদালতের নজরে এটিও আনব যে রেজিস্ট্রেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া। যাচাই বাছাই ছাড়া সবগুলোকে একসঙ্গে বন্ধ করে দেয়া কতটুকু সমীচীন এটিও ভাবার বিষয়। এটি আমরা আদালতে বলব।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের আদেশ আমরা শুনেছি, গণমাধ্যমের মাধ্যমে জেনেছি। এর অফিসিয়াল কপি এখনও আমরা পাইনি। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া আর এটি ভবিষ্যতেও হবে। ছয় মাস পরে হবে, এক বছর পরে হবে আবার পাঁচ বছর পরেও হবে। এখন যেগুলো রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত সেগুলো ছাড়া ভবিষ্যতে আর কোনো অনলাইন রেজিস্ট্রেশন পাবে না বিষয়টি তেমন নয়। তেমন কোনো নিয়ম নেই। কিংবা আজ যে পত্রপত্রিকাগুলো রয়েছে ভবিষ্যতে এগুলো ছাড়া আর কোনোটা বের হবে না তেমন নিয়ম কোথাও নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’
‘আদালতের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কিছু অনলাইন বন্ধ করা হবে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আদালতের লিখিত আদেশ পাওয়ার পর আদালত যে সময় সীমা নির্ধারণ করেছে আমরা অবশ্যই কিছু অনলাইন বন্ধ করব। তবে ভবিষ্যতেও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন দিতে হবে। এটি আমরা একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করছি। আমরা আদালতের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করব।’
এর আগে গত ১৬ আগস্ট অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকদের জন্য ‘নৈতিক নীতিমালা’ প্রণয়নে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল আদালত।
সেই সঙ্গে ‘ন্যাশনাল অনলাইন মাস মিডিয়া পলিসি ২০১৭’ অনুযায়ী দেশে অননুমোদিত এবং অনিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকাগুলোকে কেন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হবে না জানতে চাওয়া হয়।
পাশাপাশি অপেক্ষমাণ থাকা অনিবন্ধিত পত্রিকাগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে।