দেশে তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে জনগণ ঘরে বসেই অধিকাংশ কাজ করতে পারছে। করোনাভাইরাস মহামারীর বিস্তার ঠেকাতে মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা সহজ হয়েছে।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “আজকে আমি বলব, সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করতে পেরেছি বলেই আমাদের অনেক কাজ সহজ হয়েছে। যেমন- মানুষকে সহযোগিতা দেওয়া, তাদের কাছে নগদ টাকা পৌঁছানো, তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া বা ঘরে বসে চিকিৎসা পরামর্শ যাতে পেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা, ব্যবসা বাণিজ্য চালানো, ক্রয়-বিক্রয়, আত্মীয় স্বজন বা আপনজনের সঙ্গে কথা বলা, দেখা সাক্ষাৎ, চিকিৎসা সেবা অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে আমরা করে যাচ্ছি।”
“কাজেই ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারণেই কিন্তু এটা সম্ভব হচ্ছে। আমরা যদি এই ডিজিটাল বাংলাদেশ না করতাম, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ যদি উৎক্ষেপণ না করতাম এবং বাংলাদেশটা যদি একটা নেটওয়ার্কের মধ্যে না আসত তাহলে হয়ত এটা সম্ভব হত না। কাজেই ডিজিটাল করেছি বলে এটা সম্ভব হয়েছে” -যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার পক্ষে বৃহস্পতিবার এই অনুদান গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। এসময় বিকাশের ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০টি ভেন্টিলেটর এবং প্রায় সাড়ে ছয় লাখ চিকিৎসা সরঞ্জাম ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দিয়েছে চীনের আলিবাবা ফাউন্ডেশন ও জ্যাক মা ফাউন্ডেশন।
এছাড়াও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়ার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস) সহ আরো বেশ কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ দিন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সহায়তা প্রদান করে। এদের মধ্যে ৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জেএএন অ্যাসোসিয়েটসের প্রতিষ্ঠাতা এবং এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের ২৪টি দেশের সংগঠন অ্যাসোসিওর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ এইচ কাফি।