ডিজিটাল সংযুক্তিই এই বিশ্বের ভবিষ্যৎ। করোনা সঙ্কট সেই বার্তাই আমাদের দিয়েছে। আর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনে এই প্রযুক্তিই আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। কেননা এই ডিজিটাল নেটওয়ার্কে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই একটি শক্ত অবস্থানে পৌঁছেছে। নিরবিচ্ছিন্ন নেটওয়ার্কে সক্ষমতাও অর্জন হয়েছে। ফলে এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই এবার ডিজিটাল বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উৎসবে গ্রাম-বিশ্ব যুথবদ্ধ হবে। করোনা মহামারিতেও উৎসবের কোনো ঘাটতি হবে না।
ডিজিবাংলা’র সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, একজন মন্ত্রী হিয়েও আমি যদি দিনের পর দিন অফিসে না যাই তবে কাজের কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ আমার নথি কিন্তু ডিজিটালই আসে। আমি স্বাক্ষর করি ডিজিটালই। সিদ্ধান্ত যেগুলো নেয়া হয় তাও ডিজিটাল পদ্ধতিতে। তাই করোনা ভাইরাসের জন্য আমাদের এই জায়গায় শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
মন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে জনসমাগম বাদ দিয়ে অনলাইনে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন হবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে একটি ডাকটিকেট প্রকাশ করবো। এটা অনলাইনে সবাই উপভোগ করতে পারবেন। সারা দেশের মানুষের কাছে একটি পোস্ট কার্ড পৌঁছে দেবো, সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বাণী থাকবে। অনলাইনে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি কর্ণার ও আর্কাইভ করা হয়েছে। ফলে আমাদের কোনো কর্মসূচি পালনে করোনা বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। বরং অন্যরা যাতে কর্মসূচি পালন করতে পারে তার ব্যবস্থা করে দেয়ার দায়িত্বটাও আমরা নিয়েছি। আমরা ইতিমধ্যেই ডিজিটাল কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করেছি। দেশে এবং দেশের বাইরে যে কোনো ধরনের কানেক্টিভিটি দেয়ার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল বিশ্বের ডিজিটাল দক্ষিণ এশিয়ার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে রোববার। সার্কভুক্ত দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের কেউ কেউ ও অন্যান্য কর্মকর্তারা করোনা ভাইরাস নিয়ে ডিজিটালি সংযুক্ত হলেন। এটি প্রমাণিত যে ডিজিটাল সংযুক্তিই এই বিশ্বের ভবিষ্যৎ।