নীতিগত কারণে সহসাই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার বয়স সীমা বাড়ানো বা এনআইডি ব্যবহার পদ্ধতি চালু করা সম্ভব না হলেও তা ভবিষ্যতে বিবেচনায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন ফেসবুক মধ্য এশিয়া প্রোগ্রাম প্রধান শেলি ঠাকরাল। তিনি বলেছেন, অংশীজনদের ফিডব্যাকের ভিত্তিতে ফেসবুক-কে সবার জন্য সমান নিরাপদ রাখতে নিয়মিত পলিসি আপডেট এবং সল্যুশন আপডেট করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আইসিটি টাওয়ারে আইসিটি বিভাগ এবং ইউনিসেফ আয়োজিত নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রশ্নকর্তাদের নানা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, অনলাইনের নিরাপত্তাকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেই।
অনুষ্ঠানে ফেসবুকের ফেক অ্যাকউন্ট এবং বাংলাদেশ থেকে অ্যাকাউন্ট খুলতে বয়সের সীমা ও এনআইডি বাধ্যবাধকতাসহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়।
ফেক আইডি সনাক্ত করা হলে ফেসবুক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় বলে জানান শেলি।
তিনি বলেন, অফলাইনে অনেক কিছুই চিহ্নিত করা যায় না। কিন্তু অনলাইনে সনাক্ত করা সহজ। ডিজিটাল নাগরিককে অবশ্যই দায়িত্বশীল হতে হবে। ফেসবুক স্বচ্ছ্বতা এবং সবার জন্য সমান। আমরা ব্যক্তি তথ্য সুরক্ষায় খুবই যত্নশীল। ব্যবহারকারী যেন নিজেই নিজেকে সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি। আক্রান্ত হলে রিপোর্ট করার ব্যবস্থা রয়েছে। আবেদন পেলে আমরা রিভিউ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বজুড়েই ১৩ বছর বয়সকে সাবলম্বি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সে কারণেই বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এখনই ১৮ বছর করা সম্ভব নয়। একই সঙ্গে এনআইডি ব্যবহার করাটাও নীতি নির্ধারণীতে একটি বড় সিদ্ধান্ত।
সব কিছু বিবেচনায় নিয়েই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সচেতন করতে বিভিন্ন ভাষাভাষির মধ্যে গোলটেবিল বৈঠকসহ সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলেও জানা ফেসব মধ্য এশিয়ার প্রোগ্রাম প্রধান।