শিশুদের নেট ব্যবহারের আদব-কেতা শেখানো পাশপাশি প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবহারে অভিভাকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি টু মহাজন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আইসিটি টাওয়ারে আইসিটি বিভাগ এবং ইউনিসেফ আয়োজিত নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এই আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, অন্যান্য প্রযুক্তির মতো সাইবার প্রযুক্তিতে সুবিধা রয়েছে। আছে বিপুল সম্ভাবনা। তেমনি রয়েছে ঝুঁকি। এ জন্য আমাদের সম্মিলিত প্রজ্ঞার সঙ্গে এই ঝুঁকিকে মোকাবেলার শক্তি অর্জন করা প্রয়োজন। এটা না করে শিশুদের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া কোনো সল্যুশন নয়। তাই আমরা এরজন্য যুগপৎ সল্যুশন উদ্ভাবনেই সকলের সঙ্গে জ্ঞান,তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করছি।
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের এই সময়ে শিশুদে অনলাইন অভিজ্ঞতা নিরাপদ করার পাশপাশি ঝুঁকি কমিয়ে আরো বেশি ইন্টারনেটে যুক্ত করতে ইউনিসেফ আইসিটি বিভাগের সঙ্গী হয়েছে। মানসম্মত স্থানীয় কনটেন্ট বাড়িয়ে শিশুদের ইন্টারনেটে নিরাপদ রাখা যাবে। ইন্টারনেট ব্যবহারের আদব-কেতা বিষয়ে তাদের উৎসাহিত করতে হবে। প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের সঙ্গে অভিভাকদের পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। খোলা মেলা আলোচনাকে উৎসাহিত করতে হবে। অভিভাবক, শিশু এবং শিক্ষকদের শিক্ষিত করে তুলতে হবে।
২০১৯ সালে ইউনিসেফের পরিচালিত জরিপের বরতা দিয়ে তিনি জানান, সাইবার নিপীড়ন (সাইবার বুল্যিং) বাংলাদেশে অন্যতম সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৩২ শতাংশ তাদের বাহ্যিক অবয়ব, পরীক্ষার ফল, ধর্ম ইত্যাদি কারণে অনলাইনে নিপীড়নের শিকার হওয়ার কথা জানা যায়।
‘বাংলাদেশে শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা’ শীর্ষক সমীক্ষার অংশ হিসেবে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১০-১৭ বছর বয়সী এক হাজার ২৮১ শিশুর ওপর জরিপটি চালানো হয় বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, সমীক্ষা ফলাফলে দেখা যায়, প্রায় ২৫ শতাংশ শিশু ১১ বছর বয়স হওয়ার আগেই ডিজিটাল বিশ্বে প্রবেশ করতে শুরু করে। যদিও বেশি বয়সী শিশুরা কম বয়সী শিশুদের চেয়ে বেশি মাত্রায় সাইবার নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। তবে সার্বিকভাবে সব শিশুই ক্ষতিকর কনটেন্ট, যৌন হয়রানি এবং সাইবার নিপীড়ন আশঙ্কায় রয়েছে।