সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেট বা প্রযুক্তির কাছে আমরা আত্মসমর্পন না করে নিজেদের প্রয়োজনে ভালো কাজে লাগাতে শিশুদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, হাতে খড়ির জন্যও ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই এখন ইন্টারনেটকে আরো নিরাপদ রাখতে হবে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আইসিটি টাওয়ারে আইসিটি বিভাগ এবং ইউনিসেফ আয়োজিত নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই আহ্বান জানান তিনি।
এসময় ফেসবুক মধ্য এশিয়া প্রোগ্রাম প্রধান শেলি ঠাকরাল, পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এবং বর্তমান কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এর প্রধান মনিরুল ইসলাম, এটিএন নিউজ’র প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নী সাহা ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি টু মহাজন বক্তব্য রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট একটি বায়ুমন্ডলের মতো। এখানে কেউ কনটেন্ট দিচ্ছি, কেউবা নিচ্ছি। তাই এখানে কোনো কন্টেন দেয়ার আগে আমাদের সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। সাবধান হতে হবে।
পলক বলেন, আমরা যখন ইন্টারনেটে কিছু খুঁজি বা দেখি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে গুগল সেই বিষয়গুলো আমাদের সামনে নিয়ে আসে। আর তাই ইন্টারনেটে ক্ষতিকর, অপ্রীতিকর বিষয় যেন অ্যাভেইলেবেল নয় হয় যে জন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে। শিশুরাও যেন অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং একইসাথে পরিস্থিতি মোকাবেলার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, যারাই আমরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি, তাদের শুরুতেই প্রাইভেসি সুরক্ষা পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়াও ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠালে তার প্রোফাইল যাচাই করা, কোনো কিছু পোস্ট করার আগে সতর্ক থাকাসহ ৭টি বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী।
পলক বলেন, বাংলাদেশ জুড়ে এই কোর্সে অংশগ্রহণকারী ১০ লাখ স্কুল শিশু নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সংক্রান্ত সনদ পাবে। আগামি এক বছরের মধ্যে, যা কেবল তাদের অনলাইন অভিজ্ঞতাকেই নিরাপদ করবে না, দেশকেও নিয়ে যাবে একটি অনন্য বিশ্ব রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে।
বক্তব্য শেষে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী অনলাইন সেফটি ফর চিলড্রেন সার্টিফিকেশন কোর্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত প্রশ্ন উত্তর পর্বে ৫জন বিজয়ী শিক্ষার্থীর মাঝে ৩০ হাজার করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন।