দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই সর্বপ্রথম ই-পাসপোর্ট চালু করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, ই-পাসপোর্ট এবং স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রবর্তন মুজিব বর্ষের উপহার।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ই-পাসপোর্ট জাতির জন্য মুজিববর্ষের একটি উপহার। এ পর্যন্ত বিশ্বের ১১৮টি দেশে ই -পাসপোর্ট চালু হয়েছে। ১১৯তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করল।’
তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষিত জাতি হিসেবে বাংলাদেশ যেন গড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশকে উচ্চমর্যাদায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই সর্বপ্রথম ই-পাসপোর্ট চালু করতে সক্ষম হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ৯৬ সাল থেকে আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তখন শেষ করতে পারিনি। পরে ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে সেগুলো করি। কম্পিউটার, ল্যাপটপের ওপর থেকে ট্যাক্স তুলে নেই। ডিজিটাল বিপ্লব সাধিত হয়েছে। আজকে প্রায় সমগ্র বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা দিতে সক্ষম হয়েছি। সাড়ে ৩ হাজার ইউনিয়নে সাবমেরিন ক্যবাল পৌঁছে গেছে। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু পাসপোর্ট অধিদপ্তর গঠনের মাধ্যমে হাতে লেখা পাসপোর্টের প্রবর্তন করেছিলেন। ২০১৪ সালে আমরা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট চালু করি। পাসপোর্ট প্রকল্পের ফলে বাংলাদেশ আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন সবাই। প্রাথমিক পর্যায়ে রাজধানীর আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা পাসপোর্ট অফিসে এই কার্যক্রম চলবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব কেন্দ্র থেকেই ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হবে।