ই-পাসপোর্ট যাচাই করতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছয়টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। তিনটি বিদেশ থেকে আগতরা ব্যবহার করবেন। বাকি তিনটি যারা বিদেশে যাবেন তাদের জন্য ব্যবহৃত হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানাগেছে, এই ই-গেট চালু হলে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ইমিগ্রেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না ই-পাসপোর্টধারীদের। মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যেই দেশ-বিদেশের ই-গেট দিয়ে নির্বিঘ্নে বেরিয়ে যেতে পারবেন ই-পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি নাগরিকরা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুনিম হাসান জানিয়েছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশেই প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু হচ্ছে। এই ইলেকট্রিনিক পাসপোর্ট ব্যবহারের জন্য ইতিমধ্যেই হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে ৬টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, পর্যায়ক্রমে দেশের বিমান ও স্থলবন্দরে ৫০টি ই-গেট স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে ই-পাসপোর্টের ২০ লাখ বই আনা হয়েছে। এগুলো দিয়ে আগামী ১০ মাস নিশ্চিন্তে ই-পাসপোর্ট দেওয়া যাবে।
সূত্রমতে, প্রতিদিন পাসপোর্টের বই প্রয়োজন হয় দুই লাখ। আমদানি হচ্ছে এক লাখ ৮০ হাজার করে। প্রতি মাসে ২০ হাজার বই সরবরাহে ঘাটতি থাকে। এভাবে গত কয়েক মাসে দুই লক্ষাধিক পাসপোর্ট বইয়ের সংকট তৈরি হয়েছে। বর্তমানে তিন লাখ পাসপোর্টের আবেদন ঝুলে আছে। তাদের মধ্যে যাদের তদবিরের জোর আছে তারা পাসপোর্ট পাচ্ছেন। ই-পাসপোর্ট সরবরাহ কার্যক্রম শুরু হলে এই সংকট কেটে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।