আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা করা ভারতের কৃষ্ণনগরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সঞ্জিব চক্রবর্তীর আবহাওয়া মাপার যন্ত্র উড়ে এসে আছড়ে পড়েছে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যন্ত্রটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রেখেছে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার (২৫ নভেম্বর) উভয় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি’র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার দিকে একটি বিশাল আকৃতির পলিথিনের বেলুন উড়ে এসে দামুড়হুদার দেউলী গ্রামের আবুল কালামের গম খেতে পড়ে। ওই বেলুনের সাথে ছিল প্লাস্টিকের আদলের একটি সোলারবক্স, একটি ব্যাটারি ও তিন মাথাওয়ালা ক্যামেরার সমন্বয়ে একটি সার্কিট। বাক্সটির প্যাকেটে ভারতীয় ছোট আকৃতির পতাকা দিয়ে ওপরের অংশ ঢাকা ছিল।
ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘বেলুনের সাহায্যে উড়ে আসা যন্ত্রপাতিগুলো আবহাওয়া ও বৃষ্টির সম্ভাবনা মাপার যন্ত্র।
তিনি জানান, ভারতীয় পতাকা সম্বলিত বাক্সের গায়ে বাংলায় লেখা ছিল, ‘বেলুন ফোলা অবস্থায় ধূমপান করবেন না, বাক্সটিকে জলে ডোবাবেন না, লাঠির আঘাত করবেন না, আগুনে পোড়াবেন না, পুলিশ বা সংস্থার কর্তৃপক্ষ না আসা পর্যন্ত হাত দেবেন না, বাক্সটি ক্ষতি বা আঘাত করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, বাক্সটি বিপদজনক নয়।’
পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাক্সটির গায়ে থাকা নম্বরে যোগাযোগ করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি এটি আবহাওয়া ও বৃষ্টি মাপার যন্ত্র। ভারতের কৃষ্ণনগরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সঞ্জিব চক্রবর্তী এটির আবিষ্কারক।’
তিনি আরও বলেন, ‘মূলত জয়বায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি নিরুপণের যন্ত্র এটি। পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের সময় অতিরিক্ত বাতাসের কারণে রাডার থেকে ছিটকে বাংলাদেশের ভুখন্ডে চলে আসে বলে অধ্যাপক সঞ্জিব চক্রবর্তী আমাদের জানিয়েছেন।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, বিষয়টি ইতিমধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।