ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের স্বার্থে অবিলম্বে ব্যাংক কার্ডের ওপর থেকে কড়াকড়ি তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিজিটাল নীতিমালা অনুযায়ী, একটি কার্যকরী সেল গঠন করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে কেনা-বেঁচার পথকে আরো প্রশস্ত করতে ট্রাভেল কোটার অনুরূপ ‘ডিজিটাল কমার্স পেমেন্ট’ নামে আলাদা কোটা গঠনের দাবি জানিয়েছে প্রযুক্তি খাতের বাণিজ্যিক সংগঠনগুলো।
তফসিলি ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে ডলার পরিশোধে ওটিপি পদ্ধতি চালু’র পর খাতসংশ্লিষ্টদের বিড়ম্বনা নিরসনে শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে ধানমন্ডি’র ই-ক্যাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব দাবি জানানো হয়। ই-ক্যাব, বিসিএস, বাক্য এবং আইএসপিএবি’র যৌথ উদ্যোগে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমালের সঞ্চালনায় বৈঠকে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সংগঠন আইএসপিএবি-এর কোষাধ্যক্ষ সারোয়ার আলম শিকদার, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) পরিচালক ফজলুল হক নিজ নিজ সংগঠনের সদস্যরা এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে ই-ক্যাব পরিচালক আশীষ চক্রবর্তী ও মোঃ সাহাব উদ্দিন, আইএসপিএবি পরিচালক, মোঃ নাসির উদ্দিন, ই-ক্যাব ইয়্যুথ ফোরামের সভাপতি আসিফ আহনাফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে প্রত্যেকে নিজ নিজ সংগঠনের সদস্যরা কীভাবে ডিজিটাল পেমেন্টের বিষয়ে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন তা তুলে ধরেন। বিদ্যমান পরিস্থিতি ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের পথে প্রতিবন্ধক হিসেবেও আখ্যায়িত করেন। নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে সবাইকে বিপদে না ফেলে এমসিসি কোড দিয়ে ডিজিটাল পেমেন্টে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির আহ্বান জানান। একইসঙ্গে এ ধরণের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে তারপরই যেন সরকার তা বাস্তবায়ন করে সে বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বাণিজ্য সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা। বৈঠকে এ ধরণের সমস্যা সমাধানে সংগঠনগুলো যুথবদ্ধভাবে কাজ করারও অঙ্গীকার করেন।