ফেসবুক স্ট্যাটাস ও কমেন্টকে কেন্দ্র করে আর কোনো শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দেয়া এক অফিস আদেশে প্রতিটি শিক্ষার্থীর ‘বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা’ প্রদানের প্রদানের প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ কী’ ফেসবুকে এমন প্রশ্নবোধক একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও দ্য ডেইলি সানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিঃস্কার করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বশেমুরবিপ্রবির আলোচিত উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. নূর উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ১৪ দফা দাবিও জানান।
শিক্ষার্থীদের দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে ভিসির স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ কী’ এই বাক্যটি ফেসবুকে পোস্ট করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও দ্য ডেইলি সানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে নিজের কক্ষে নিয়ে অশোভন ভাষায় কথা বলেন ভিসি। তাদের কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে।
সেখানে ভিসিকে বলতে শোনা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী? ফাজিল কোথাকার! বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী, তুমি জানো না? বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ তোমাদের মতো বেয়াদব তৈরি করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী, তোর আব্বার কাছে শুনিস। গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোদিন?
উপাচার্য আরো বলেন, আমি খুলছি বলেই তো তোর চান্স হইছে। না হলে তো তুই রাস্তা দিয়া ঘুরে বেড়াতি। বেয়াদব ছেলেমেয়ে।
অডিও ফাঁসের পর জিনিয়াকে শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ, অমানবিক, স্বাধীন মতপ্রকাশের প্রতিবন্ধক ও সাংবাদিকতার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন। এরপর নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন জিনিয়া। এরপর বিকেলেই কর্তৃপক্ষ জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে। এ
প্রসঙ্গত, এর আগেও শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করার দায়ে পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।