ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে লাখপতি হয়েছেন রাজশাহীর পবা উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের তরুণ কৃষক মো. সাকিব। পুরস্কার গ্রহণ করে অভিভূত অর্থাভাবে অষ্টম শ্রেণীতে ঝড়ে পড়া সাকিব। জানালেন, এই অর্থের কিছু টাকা মসজিদে দান করবেন এবং বাকি টাকা দিয়ে ছোটখাট একটা ব্যবসা শুরু করবেন তিনি।
সাকিব বলেন, ‘নিজের অল্প কিছু জমি আছে। এছাড়াও অন্যের জমিতে চাষাবাদ করি। সেই আমিই কিনা এখন মিলিয়নিয়ার! ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে আমার ভাগ্য বদলে গেলো। এই টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করবো। কিছু টাকা মসজিদে দান করবো। আমার ভাগ্য পরিবর্তন করে দেয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।’
জানাগেছে, গত ৪ আগস্ট হাটরামচন্দ্রপুর বাজারের ওয়ালটন পণ্যের পরিবেশক মেসার্স লাজ এন্টারপ্রাইজ-এর সাব-ডিলার ‘এম আর ইলেকট্রনিক্স’ থেকে মাত্র ২২ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে ১১ সিএফটির একটি ফ্রিজ কেনেন সাকিব। এরপর ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় ফ্রিজটি রেজিস্ট্রেশন করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তার মোবাইল ফোনে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায়। যার ফলে বদলে গেছে এই কৃষক পরিবারের ভাগ্য।
গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে সাকিবের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাটরামচন্দ্রপুর ডিগ্রী কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল রফিকুল ইসলাম, লাজ এন্টারপ্রাইজ-এর স্বত্ত্বাধিকারী শফিউল আযম বাবু, এম আর ইলেকট্রনিক্স-এর স্বত্ত্বাধিকারী মুকুল হোসেন এবং ওয়ালটনের রাজশাহী জোনের এরিয়া ম্যানেজার ফজলে রাব্বি সিদ্দিকী প্রমুখ।
ওয়ালটনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সাকিব। তিনি জানান, টাকার অভাবে মাত্র অষ্টম শেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করতে পেরেছেন। এরপরই নেমে যেতে হয়েছে জীবনযুদ্ধে। মা-বাবা, স্ত্রী আর এক ছেলে নিয়ে ৫ সদস্যের পরিবার। সবার মুখে অন্ন যুগিয়ে একটি ফ্রিজ কেনার জন্য অল্প অল্প করে কিছু টাকা জমান। এর আগে একটি ওয়ালটন মোবাইল ফোন কিনে ব্যবহার করছেন। তিনি দেখেছেন ওয়ালটনের পণ্য দামে যেমন সাশ্রয়ী, তেমনি উচ্চমানের। ফলে কষ্টার্জিত টাকায় সেরা ফ্রিজটি কিনতে ওয়ালটনকেই বেছে নেন তিনি।