কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর পর এবার মানবাকৃতির একটি রোবট তৈরি করেছে কুমিল্লার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। তারা হচ্ছেন কুমিল্লার ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আশরাফুর রহমান মিনহাজ এবং তৃতীয় বর্ষের ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মাহমুদা আফরিন। নিজেদের নামের আদ্যক্ষর মিলিয়ে রোবটের নাম দেয়া হয়েছে মিয়া-১।
রোবটটি চোখে লাগানো ক্যামেরায় অন্ধকারেও দেখতে পারে। ব্যবহারকারীর কথা শুনতে পারে। একই সঙ্গে উত্তরও দিতে পারে। মুখে কথা বলার পাশাপাশি বুকে লাগানো ৭ ইঞ্চি স্পর্শ পর্দায় ছবি প্রদর্শন করতে পারে। এ ছাড়া ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবহারকারীকে তা সরবরাহ করতে পারে এই রোবট।
উদ্ভাবকরা জানিয়েছেন, টিচিং এবং রিসিপশনের কাজ করতে পারবে মিয়া-১। রোবটটি বানাতে মেন্টর ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক মাসুম বকাউল। এটি বাংলাদেশের প্রথম ওপেনসোর্স হিউম্যানয়েড রোবট বলে দাবি করেন তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীরের সঙ্গে এই রোবটের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লার নারীনেত্রী দিলনাশি মোহসেন ও বিএনসিসি ময়নামতি রেজিমেন্টের কমান্ডার সালাহউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে নির্মাতারা জানান, সব মিলিয়ে আড়াই মাসের মতো সময় লেগেছে এই রোবট তৈরি করতে। এ জন্য ব্যয় হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এই রোবট পরিচালনার জন্য আলাদা করে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে হয় না। তাঁদের দাবি, এটি দেশের প্রথম একটি অগ্রগামী রোবট। এটিকে বাংলাদেশের প্রথম ‘ওপেন সোর্স হিউম্যানয়েড রোবট’ বলা যেতে পারে।
এর আগে চলতি বছর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যলয়ের তিন শিক্ষার্থী ৩৭ হাজার টাকায় একটি রোবট তৈরি করেছিলো।