১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস। ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য দিবসটি প্রতিপালন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছে বর্তমান সরকার। পঞ্চম প্রযুক্তির টেলিযোগাযোগে প্রবেশের প্রত্যয়ে এ খাতের বিদ্যমান সমস্যা এবং সম্ভাবনা সামনে উঠে আসবে।
‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ক্ষমতায়ন’ প্রতিপাদ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে নানা আয়োজনে দিবসটি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি ও বেসরকারি নানা ও প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন।
এরমধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসি এবং আইটিইউ এর যৌথ উদ্যোগে বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দিবসের প্রধান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। প্রতিপাদ্যের ওপর আলোচনা করবেন অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাহবুব উল আলম এবং বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য ড. মাহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ।
এ দিকে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সড়কে সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করা হবে।
এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবুবক্কর সিদ্দিক দেশের সকল মুঠোফোন গ্রাহক, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, দেশবাসী, গণমাধ্যম ব্যক্তি, সরকার ও নিয়ন্ত্রক কমিশন এবং এমএনওদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বার্তায় মুঠোফোন গ্রাহক সমিতির সভাপতি বলেছেন, ব্যান্ডউইথের দাম কমালেও তার সুফল জনগণ এখনো করতে পারেনি এর মধ্যে প্রধান অন্তরায় উচ্চকর ব্যবস্থা এবং মধ্যস্বত্বভূমিদের দৌরাত্ম। দেশের এখনো অর্ধেক জনগোষ্ঠী স্মার্টফোন ব্যবহার থেকে বঞ্চিত। টেলিযোগাযোগের অপব্যবহার দিনে দিনে মাত্রা অতিক্রম করে যাচ্ছে। তাই আগামী দিনের বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবসে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধান কাজ হবে জনগণকে সচেতন করা।
প্রসঙ্গত, তিউনিসে অনুষ্ঠিত ২০০৫ তথ্য সমাজের উপর বিশ্ব সম্মেলনের পর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত একটি প্রস্তাবনার মাধ্যমে ১৭ মে এই দিবস হিবেসে ঘোষণা করা হয়। দিবসটি পূর্বে ১৭ মে, ১৮৬৫ সালে, আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠার স্মৃতিরক্ষা বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস হিসেবে পরিচিত ছিল।