মাস জুড়ে ১৫০ টাকায় কথা বলা যাবে বিটিসিএল ল্যান্ডফোনে। অবশ্য অন্য অপারেটরে কথা বলতে মিনিটে গুনতে হবে ৫২ পয়সা। আর ল্যান্ডলাইনে কোনো লাইনরেন্ট রাখছে না বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড বা বিটিসিএল।
বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। আগামী ১৬ আগস্ট থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বৈঠকে বিটিসিএলকে গ্রাহক সেবা অটোমেশন করে জনবান্ধব ও লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে লাগসই কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস্তবায়নে করণীয় বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।মন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী বিটিসিএলের নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই নেটওয়ার্ক যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে।এসময় বিটিসিএলের সকল ফোন সচল রাখা ও সেবা প্রদানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল মাহমুদ।
বৈঠকে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান জনবলকে আধুনিক প্রযুক্তি উপযোগী করে তৈরি, বিডি ডোমেইন নিবন্ধন ফি ও টেলিফোন সংযোগের ডিমান্ড নোট পদ্ধতি পরিবর্তন, গ্রাহক সেবা অটোমেশন করে বিটিসিএলকে জনবান্ধব ও লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে লাগসই কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়। অটোমেশন পদ্ধতিতে ঘরে বসেই যাতে গ্রাহকগণ যাতে সেবা পেতে পারেন এ বিষয়েও তিনি করণীয় বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতির দেশে ঢুকেছে বাংলাদেশ। অগ্রযাত্রা আরও বেগবান করতে ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশ ফাইভজি প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করবে। শহর এবং গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য যাতে না হয় সেই লক্ষ্যে দেশের ইউনিয়ন পর্যন্ত বিদ্যমান ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ফাইভজি উপযোগী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী বিটিসিএল এর নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই নেটওয়ার্ক যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। মন্ত্রী বিটিসিএল এর সকল ফোন সচল রাখা ও সেবা প্রদানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।