যদিও অনেক দেশেই নিরাপত্তার কারণে সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়, তবে এক্ষেত্রে ভারত সরকার অন্যান্য দেশকে ছাপিয়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট শাটডাউনের ক্ষেত্রে গত পাঁচ বছর ধরে ভারত প্রথম স্থানে রয়েছে। অ্যাকসেস নাউ এবং কিপইটঅন কোয়ালিশন প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
গত বছর দেশে ৮৪ বার ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে ভারত প্রশাসন। যার প্রধান কারণ হলো দেশটিতে বিক্ষোভ, সহিংসতা, পরীক্ষা এবং নির্বাচন। ২০২২ সালে, শুধুমাত্র জম্মু ও কাশ্মীরে ৪৯ বার ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে, যার মধ্যে জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই ইন্টারনেট ক্রমাগত ১৬ বার বন্ধ করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পরে রাজস্থান দ্বিতীয়, যেখানে এক বছরে ১২ বার ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে তিন নম্বরে যেখানে সাতবার ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছে।
২০১৬ সাল থেকে ভারতে বারবার ইন্টারনেট বন্ধ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট বন্ধের ক্ষেত্রে ৫৮ শতাংশ ভারতে ঘটেছিলো। টেলিযোগাযোগ পরিষেবার অস্থায়ী সাসপেনশন (পাবলিক ইমার্জেন্সি বা পাবলিক সেফটি) রুলস, ২০১৭-এর অধীনে ইন্টারনেট বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়।
ডিওটি দ্বারা প্রণীত এই নির্দেশে আছে যে, অস্থায়ী স্থগিতাদেশ “জনসাধারণের জরুরি অবস্থা বা জননিরাপত্তার কারণে” দেয়া হতে পারে। ইন্টারনেট বন্ধ করার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হাতে রয়েছে।
২০২১ সালে সারা বিশ্বে মোট ৩০ হাজার ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো, যার ফলে ৫.৪৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। এই শাটডাউনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর তালিকায় ভারত তৃতীয় স্থানে আছে। ভারতে ২০২১ সালে ১,১৫৭ ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো, যার ফলে ৫৮২.৮ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। ইন্টারনেট বন্ধের কারণে ৫৯ লাখ মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ডিবিটেক/বিএমটি