যুগ যুগ ধরে কৃত্রিমতা বর্জন করার আহ্বান জানালেও পৃথিবী এখন বুঁদ হয়েছে এই কৃত্রিমতায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটজিপিটি-৩.৫ চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্টদের কপালেও। কেননা, তার যুক্তিবোধ টনটনে। নীতিজ্ঞানও প্রখর। বাস্তব ও কল্পানার ফারাকও বোঝে সে।
২০১৫ সালে কলম্বাস আমেরিকায় এলে কী হবে, এমন প্রশ্নেও ঘাবড়ায় না। আত্মপ্রকাশের পাঁচ দিনের মধ্যেই তার ব্যবহারকারী দশ লক্ষ। গুগলকেও চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই নতুন সংস্করণ। সম্প্রতি গুগলের এক কর্মকর্তা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে চ্যাটজিপিটির নাম উল্লেখ না করে বলেছেন, এআই চ্যাটবটগুলো কার্যত সার্চ জায়ান্ট গুগলের ব্যবসার পুরোটাই গিলে খেতে পারে।
সেকারণেই হয়তো আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এই বিষয়ে একটি আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে গুগল। অদূর ভবিষ্যতে চ্যাটজিপিটি’কে সার্চ ইঞ্জিন বিংয়ে যুক্ত করার বিষয়ে মাইক্রোসফট আরও তথ্য জানাবে বলেও ধারণা প্রকাশ করেছে প্রযুক্তি সাইট ভার্জ। ধারণা করা হচ্ছে, জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য গুগলের প্রথম এআই চ্যাটবট হবে এলএএমডিএ বা ল্যামডা। এই চ্যাটবটের ব্যবহার এত দিন পরীক্ষামূলক বা বেটা হিসেবে গুগলের প্রকৌশলী ও পরীক্ষকদের জন্য সীমিত ছিল।