প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও আইফোন নির্মাতা অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী (সিইও) টিম কুকের বার্ষিক বেতন-ভাতা ৪০ শতাংশের চেয়েও বেশি কমতে যাচ্ছে। শুক্রবার অ্যাপলের বরাত দিয়ে বিবিসি, সিএন এবং এপি এ তথ্য দিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, শেয়ার মালিকদের সমালোচনার মুখে টিম কুক নিজেই তার বেতন-ভাতা কমানোর অনুরোধ করেছেন।
অ্যাপল কর্মকর্তাদের বেতন সংক্রান্ত কমিটি টিম কুকের জন্য ২০২৩ সালের ‘লক্ষ্যমাত্রা বেতন’ নির্ধারণ করেছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
আগে প্রযুক্তি কোম্পানিটি থেকে তার বাৎসরিক আয় ছিলো ৯ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার। গত বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রেগুলেটরি ফাইলিংয়ে অ্যাপল জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জন্য টিম কুকের মোট বেতন ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার (৫১০ কোটি টাকা প্রায়)। এর মধ্যে মূল বেতন হবে ৩০ লাখ ডলার, নগদ প্রণোদনা ৬০ লাখ ডলার এবং ইক্যুইটি বোনাস চার কোটি ডলার।
কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে, শেয়ারহোল্ডারদের মতামত, কোম্পানির পারফরম্যান্স, সর্বোপরি টিম কুকের পরামর্শে সিইও’র বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কুকের উচ্চ বেতনের বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সম্প্রতি সমালোচনার মুখে পড়েছিল অ্যাপল। ইনস্টিটিউশনাল শেয়ারহোল্ডার সার্ভিস (আইএসএস) নামে একটি পরামর্শক ফার্ম অভিযোগ তোলে, কুক যে বেতন পান তার অর্ধেকটাই কোম্পানির পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে নয়।
গত বছরের মার্চ মাসে অ্যাপলের নির্বাহী বেতন ইস্যুতে শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে একটি ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়েছিল। এতে বিদ্যমান বেতনের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পড়লেও বিরোধীদের সংখ্যাও ছিল উল্লেখযোগ্য।
ব্লুমবার্গের হিসাবে, প্রধান নির্বাহীদের কাছ থেকে নিজের বেতন কমানোর এ ধরনের সুপারিশ খুবই বিরল। বরং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিইও’দের বেতন প্যাকেজ ক্রমাগত বেড়েছে। নির্বাহী বেতনের ক্ষেত্রে ২০২১ সাল ছিল রেকর্ডের বছর।
২০১১ সালে পদোন্নতি পেয়ে ৬২ বছর বয়সী এ ব্যবসায়ী কুক অ্যাপলের সিইও হন। গত তিন বছর তিনি মূল বেতন হিসেবে ৩০ লাখ ডলার পাচ্ছিলেন। ২০২০ সালে বোনাসসহ কোম্পানি থেকে তার মোট আয় ছিল ১ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। কিন্তু ২০২১ সালে তা একলাফে বেড়ে ৯ কোটি ৮৭ লাখ ডলারে পৌঁছায় এবং ২০২২ সালে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলারে।