ইন্টারনেটের বদৌলতে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, স্কাইপের মতো মেসেজিং ও ভিডিও কলিং সেবা জনপ্রিয় হলেও এখনও মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের কাছে এসএমএসের গুরুত্ব রয়েছে সমানভাবে। ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ থেকে শুরু করে দৈনন্দিন যোগাযোগ, স্মার্টফোন যুগেও এসএমএসের নির্ভরতা কমেনি। প্রত্যেক ৩ জন মোবাইল ব্যবহারকারীর একজন এখনও মোবাইল থেকে এসএমএস পাঠিয়ে থাকেন। সম্প্রতি ৩০ বছর পূর্ণ করলো এই টেক্সট মেসেজিং সেবা।
হোয়াটসঅ্যাপ, স্কাইপের মতো মেসেজিং অ্যাপ জনপ্রিয়তা পেলেও এখনও মোট মোবাইল ব্যবহারকারীর ২০ শতাংশ এসএমএস অ্যাপকেই ডিফল্ট মেসেজিং অ্যাপ হিসেবে সেট করে রেখেছেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষায় জানা গেছে, মোট মোবাইল গ্রাহকের ৩০ শতাংশ প্রতিদিন এসএমএস পাঠান। এছাড়াও নিজের পছন্দের মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে অপর প্রান্তের মানুষটি না থাকার কারণে টেস্ট মেসেজ পাঠাতে বাধ্য হন ৫৪ শতাংশ ব্যবহারকারী।
খুব সহজে টেস্ট মেসেজ পাঠানোর জন্য শুরু হয়েছিল শর্ট মেসেজিং সার্ভিস। ১৯৮৪ সালে এই প্রযুক্তি তৈরির কথা ভাবা হলেও প্রথম এসএমএস পাঠানো হয়েছিলো ১৯৯২ সালে সালের ৩ ডিসেম্বরে। নিল প্যাপওয়ার্থ নামের এক ইঞ্জিনিয়ার এই মেসেজে “Merry Christmas” লিখে পাঠিয়েছিলেন।
২২ বছর বয়সী পাপওয়ার্থ মেসেজটি পাঠিয়েছিলেন সে সময়ের ভোডাফোন প্রধান রিচার্ড জার্ভিসকে। মজার বিষয় হচ্ছে, সম্ভবত হালের ‘সিন জোন’ বিড়ম্বনার শিকার হয়েছিলো ইতিহাসের প্রথম টেক্সট মেসেজটিও। পাপওয়ার্থের মেসেজটি যখন জার্ভিসের কাছে পৌঁছায়, তখন তিনি এক পার্টিতে। কোনো উত্তর পাননি পাপওয়ার্থ।
বিবিসি জানিয়েছে, জার্ভিসের ফোনটি ছিল অরবিটেল ৯০১ মডেলের, ওজন ছিল দুই কেজি একশ গ্রাম। ওজনে যা আজকের দিনের কম-বেশি ১২টি আইফোন ১৪-এর সমান।
ডিবিটেক/বিএমটি