২০২২ সালের মধ্যেই তিয়ানগং স্পেস স্টেশনের নির্মাণ কাজ শেষ করতে চাইছে চীন। এর মাধ্যমে এখন মহকাশেও নিজেদের একক সক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে দেশটি। সেই লক্ষ্যে বাস্তবায়নে এরইমধ্যে তিয়ানহে কোর মডিউলে পৌঁছেছেন চীনের তিন নভোচারী। এ স্টেশনটির নির্মাণকাজে সহযোগিতা করতে টানা ছয় মাস মহাকাশেই থাকবেন তারা।
প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট ভার্জ জানিয়েছে, এ বছরের মধ্যে তিয়ানগংয়ের নির্মাণ কাজ শেষ করে ২০২৩ সালে মহাকাশে ঝুনটিয়ান টেলিস্কোপ পাঠাতে চায় চীন।
চীনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, শনিবার সকালে জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে তিন নভোচারী নিয়ে মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে শেনঝোউ ১৪ রকেট। রোববার সকালে তিয়ানগংয়ের কোর মডিউল তিয়ানহে-তে পৌঁছান চেন ডং, চাই ঝুজি এবং লিউ ইয়াং। এদের মধ্যে লিউ ইয়াং মহাকাশে পৌঁছানো চীনের প্রথম নারী নভোচারী। ২০১২ সালে শেনঝোউ ৯ মিশনের পাইলট ছিলেন তিনি।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ জানিয়েছে, একাধিকবার ‘স্পেসওয়াক’-এ বের হবেন চীনের নভোচারীরা। তাদের মূল উদ্দেশ্য, অসমাপ্ত মহাকাশ স্টেশনটিকে নতুন আরও দুটি স্পেস মডিউলে সংযুক্ত করার জন্য প্রস্তুত করা। এর মধ্যে ‘ওয়েনতিয়ান’ মডিউলটি মহাকাশের উদ্দেশ্যে রওনা হবে জুলাই মাসেই। আর ‘মেংতিয়ান’ মডিউল যাবে অক্টোবরে।
স্পেস ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মডিউল দুটি তিয়ানহের দুই পাশে সংযুক্ত হবে; ইংরেজি অক্ষর ‘টি’ (T)-এর আকার নেবে তিয়ানগং। তবে, নাসা ও ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণাসংস্থাগুলোর নিয়ন্ত্রিত ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এর তুলনায় আকারে ছোট হবে চীনের স্টেশনটি।
২০২১ সালের এপ্রিল মাসে তিয়ানহে মডিউল মহাকাশে পাঠিয়েছিল চীন। আর শেনঝোউ ১৪ চীনের তৃতীয় মিশন যাতে নভোচারীরা সশরীরে অংশ নিচ্ছেন। বছরের শেষে মহাকাশ স্টেশনটিতে পৌঁছাবেন শেনঝোউ ১৫ মিশনের তিন নভোচারী। দুই মিশনের নভোচারীদের উপস্থিতিতে প্রথমবারের মতো ছয়জন ব্যক্তিকে ধারণ করবে মহাকাশ স্টেশনটি।